10. তিনি দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠলেন, কারণ আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁর সংগে ছিলেন।
11. টায়ারের বাদশাহ্ হীরম দাউদের কাছে কয়েকজন লোক পাঠালেন এবং তাদের সংগে এরস কাঠ, ছুতার মিস্ত্রি ও রাজমিস্ত্রি পাঠিয়ে দিলেন। তারা দাউদের জন্য একটা রাজবাড়ী তৈরী করে দিল।
12. দাউদ তখন বুঝলেন যে, মাবুদ ইসরাইলের উপরে তাঁর রাজপদ স্থির করেছেন এবং তাঁর লোকদের, অর্থাৎ বনি-ইসরাইলদের জন্য তাঁর রাজ্যের উন্নতি করেছেন।
13. দাউদ হেবরন ছেড়ে জেরুজালেমে গিয়ে আরও স্ত্রী ও উপস্ত্রী গ্রহণ করলেন এবং তাঁর আরও ছেলেমেয়ের জন্ম হল।
14. জেরুজালেমে তাঁর যে সব ছেলেমেয়ের জন্ম হয়েছিল তাদের নাম হল সম্মূয়, শোবব, নাথন, সোলায়মান,
15. যিভর, ইলীশূয়, নেফগ, যাফিয়,
16. ইলীশামা, ইলিয়াদা ও ইলীফেলট।
17. ফিলিস্তিনীরা যখন শুনতে পেল যে, ইসরাইলের উপরে দাউদকে রাজপদে অভিষেক করা হয়েছে তখন তারা সমস্ত সৈন্য নিয়ে তাঁকে হামলা করবার জন্য খুঁজতে লাগল। দাউদ সেই কথা শুনে কেল্লা নামে পাহাড়টায় গেলেন।
18. ফিলিস্তিনীরা এসে রফায়ীম উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়ল।
19. দাউদ তখন মাবুদকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কি ফিলিস্তিনীদের হামলা করব? তুমি কি তাদের আমার হাতে তুলে দেবে?”জবাবে মাবুদ বললেন, “জ্বী, যাও। আমি নিশ্চয়ই তোমার হাতে ফিলিস্তিনীদের তুলে দেব।”
20. দাউদ তখন বাল-পরাসীমে গেলেন এবং সেখানে তাদের হারিয়ে দিলেন। তিনি বললেন, “মাবুদ আমার সামনে পানির বাঁধ ভাংগার মত করে আমার শত্রুদের ভেংগে ফেললেন।” এইজন্য সেই জায়গার নাম হল বাল-পরাসীম।
21. ফিলিস্তিনীরা তাদের দেবমূর্তিগুলো সেখানে ফেলে গিয়েছিল, আর দাউদ ও তাঁর লোকেরা সেগুলো নিয়ে গেলেন।
22. পরে ফিলিস্তিনীরা আবার এসে রফায়ীম উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়ল।