2. তখন বাদশাহ্ তাঁর সংগের সেনাপতি যোয়াবকে বললেন, “তোমরা দান থেকে বের্-শেবা পর্যন্ত ইসরাইলের গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে গিয়ে লোকদের গণনা করে এস যাতে আমি তাদের মোট সংখ্যা জানতে পারি।”
3. জবাবে যোয়াব বাদশাহ্কে বললেন, “আপনার মাবুদ আল্লাহ্ যেন লোকদের সংখ্যা শতগুণ বাড়িয়ে দেন, আর আমার প্রভু মহারাজ যেন তা নিজের চোখেই দেখতে পান। কিন্তু আমার প্রভু মহারাজ এই রকম কাজ কেন করতে চাইছেন?”
4. কিন্তু যোয়াব ও সেনাপতিদের কাছে বাদশাহ্র হুকুম বহাল রইল; কাজেই ইসরাইলের লোকদের গণনা করবার জন্য তাঁরা বাদশাহ্র সামনে থেকে চলে গেলেন।
5. তাঁরা জর্ডান পার হয়ে গিয়ে গাদ এলাকার উপত্যকার মধ্যেকার শহরের দক্ষিণে অরোয়েরে গিয়ে তাম্বু ফেললেন, তারপর যাসেরে গেলেন।
6. তারপর তাঁরা গিলিয়দ এবং তহতীম-হদ্শি এলাকায় গেলেন। তারপর তাঁরা দান্তযানে গিয়ে ঘুরে সিডনের দিকে গেলেন।
7. তারপর তাঁরা টায়ারের কেল্লায় এবং হিব্বীয় ও কেনানীয়দের সমস্ত শহরে গেলেন। শেষে তাঁরা এহুদার দক্ষিণ দিকের বের্-শেবাতে গেলেন।
8. এইভাবে তাঁরা গোটা দেশটা ঘুরে নয় মাস বিশ দিন পরে জেরুজালেমে ফিরে আসলেন।
9. যোয়াব বাদশাহ্র কাছে লোকদের সংখ্যার হিসাব দিলেন। তাতে দেখা গেল, তলোয়ার চালাতে পারে এমন বলবান লোক ইসরাইলে রয়েছে আট লক্ষ আর এহুদাতে রয়েছে পাঁচ লক্ষ।
10. লোকদের গণনা করবার পরে দাউদের বিবেকে আঘাত লাগল। তিনি মাবুদের কাছে মুনাজাত করে বললেন, “আমি এই কাজ করে ভীষণ গুনাহ্ করেছি। হে মাবুদ, মিনতি করি, তুমি তোমার গোলামের এই অন্যায় দূর করে দাও। আমি খুবই বোকামির কাজ করেছি।”
11. পরের দিন সকালে দাউদ ঘুম থেকে উঠলে পর তাঁর দর্শক নবী গাদের উপর মাবুদের এই কালাম নাজেল হল,
12. “তুমি গিয়ে দাউদকে এই কথা বল, ‘আমি মাবুদ বলছি যে, আমি তোমার জন্য তিনটি শাস্তি ঠিক করেছি। তুমি তার মধ্য থেকে যেটা বেছে নেবে আমি তোমার প্রতি তা-ই করব।’ ”
13. গাদ তখন দাউদের কাছে গিয়ে বললেন, “আপনার দেশে কি সাত বছর ধরে দুর্ভিক্ষ হবে? নাকি আপনি শত্রুদের তাড়া খেয়ে তিন মাস পালিয়ে বেড়াবেন? নাকি তিন দিন ধরে আপনার দেশে মহামারী চলবে? যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে আমি কি জবাব দেব আপনি এখন চিন্তা করে আমাকে বলুন।”
14. তখন দাউদ গাদকে বললেন, “আমি খুব বিপদে পড়েছি। আমি যেন মানুষের হাতে না পড়ি; তার চেয়ে বরং আসুন, আমরা মাবুদের হাতে পড়ি, কারণ তাঁর মমতা অসীম।”