15. মাবুদ তখন সকাল থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট করা সময় পর্যন্ত ইসরাইলের উপর এক মহামারী পাঠিয়ে দিলেন। তাতে দান থেকে বের্-শেবা পর্যন্ত গোটা দেশের লোকদের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোক মারা গেল।
16. জেরুজালেম ধ্বংস করবার জন্য ফেরেশতা যখন হাত বাড়ালেন তখন মাবুদ সেই ভীষণ শাস্তি দেওয়া থেকে মন ফিরালেন। যে ফেরেশতা লোকদের ধ্বংস করছিলেন তিনি তাঁকে বললেন, “থাক্, যথেষ্ট হয়েছে। তোমার হাত গুটিয়ে নাও।” সেই সময় মাবুদের ফেরেশতা যিবূষীয় অরৌণার খামারের কাছে ছিলেন।
17. যে ফেরেশতা লোকদের আঘাত করছিলেন দাউদ তাঁকে দেখে মাবুদকে বললেন, “গুনাহ্ এবং অন্যায় করেছি আমি। ওরা তো ভেড়ার মত। ওরা কি করেছে? কাজেই আমাকে ও আমার পিতার বংশকে তুমি শাস্তি দাও।”
18. সেই দিন গাদ দাউদের কাছে গিয়ে বললেন, “আপনি যিবূষীয় অরৌণার খামারে গিয়ে আল্লাহ্র উদ্দেশে সেখানে একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করুন।”
19. তখন দাউদ মাবুদের হুকুম মতই গাদের কথা অনুসারে সেখানে গেলেন।
20. অরৌণা যখন বাদশাহ্ ও তাঁর লোকদের তার দিকে আসতে দেখল তখন সে গিয়ে বাদশাহ্র সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে তাঁকে সালাম জানাল।
21. অরৌণা বলল, “আমার প্রভু মহারাজ তাঁর গোলামের কাছে কি জন্য এসেছেন?”জবাবে দাউদ বললেন, “মাবুদের উদ্দেশে একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করবার জন্য আমি তোমার খামারটা কিনে নিতে চাই, যাতে লোকদের উপরে আসা এই মহামারীটা থেমে যায়।”
22. অরৌণা দাউদকে বলল, “আমার প্রভু মহারাজের যা ভাল মনে হয় তা-ই আমার এখান থেকে নিয়ে কোরবানী করুন। পোড়ানো-কোরবানীর জন্য এখানে ষাঁড় রয়েছে আর কাঠের জন্য রয়েছে ফসল মাড়াইয়ের যন্ত্র ও ষাঁড়গুলোর জোয়াল।
23. হে মহারাজ, অরৌণা বাদশাহ্কে এই সবই দিচ্ছে।” অরৌণা তাঁকে আরও বলল, “আপনার মাবুদ আল্লাহ্ যেন আপনার কোরবানী কবুল করেন।”
24. জবাবে বাদশাহ্ অরৌণাকে বললেন, “না, তা হবে না। আমি নিশ্চয়ই দাম দিয়ে এগুলো কিনে নেব। বিনামূল্যে পাওয়া এমন কোন কিছু আমি আমার মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী হিসাবে দেব না।”এই বলে দাউদ পঞ্চাশ শেখেল রূপা দিয়ে সেই খামারটা এবং ষাঁড়গুলো কিনে নিলেন।
25. তারপর তিনি সেখানে মাবুদের উদ্দেশে একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করলেন এবং পোড়ানো-কোরবানী ও যোগাযোগ-কোরবানী দিলেন। এইভাবে দেশের জন্য মুনাজাত করা হলে পর মাবুদ তা শুনলেন আর ইসরাইল দেশের মহামারী থেমে গেল।