3. ইসরাইলের আল্লাহ্ বলেছেন,ইসরাইলের আশ্রয়-পাহাড় আমাকে বলেছেন,‘যে লোক সৎভাবে লোকদের শাসন করে আর আল্লাহ্কে ভয় করে,
4. সে মেঘশূন্য ভোরে ওঠা সূর্যের আলোর মত;বৃষ্টির পরে সূর্যের যে আলোতে মাটি থেকে ঘাস গজায়সে তারই মত।’
5. আল্লাহ্র কাছে আমার বংশ কি তেমন নয়?আমার জন্য তিনি তো একটা চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করেছেন।সেই ব্যবস্থার সব কথা ঠিকভাবে সাজানো এবং সুরক্ষিত।আমার উদ্ধার তিনি সফল করবেন,আমার ইচ্ছা তিনি পূরণ করবেন।
6. কিন্তু দুষ্ট লোকেরা সবাই উপ্ড়ে ফেলা কাঁটার মত,যাদের হাত দিয়ে ধরা যায় না।
7. যে লোক তাদের ধরতে যায়তাকে ব্যবহার করতে হয়লোহার অস্ত্রশস্ত্র কিংবা বর্শা;তাই তারা যেখানে আছেসেখানেই তাদের পুড়িয়ে ফেলা হবে।”
8. দাউদের শক্তিশালী লোকদের নাম এই: তখমোনীয় যোশেব-বশেবৎ নাম-করা তিনজন বীরের মধ্যে প্রধান ছিলেন; একটা যুদ্ধে তিনি আটশো লোককে হত্যা করেছিলেন বলে তাঁকে ইস্নীয় আদীনো বলা হত।
9. তাঁর পরের জন ছিলেন ইলিয়াসর। ইনি ছিলেন অহোহীয়ের বংশের দোদার ছেলে। যখন ফিলিস্তিনীরা যুদ্ধের জন্য জমায়েত হয়েছিল তখন তাদের টিট্কারি দেবার জন্য যে তিনজন শক্তিশালী লোক দাউদের সংগে ছিলেন ইলিয়াসর ছিলেন তাঁদের একজন। বনি-ইসরাইলরা পিছু হটে গেল,
10. কিন্তু ইলিয়াসর যুদ্ধের জায়গায় দাঁড়িয়েই ফিলিস্তিনীদের আঘাত করতে থাকলেন। শেষে তাঁর হাত ক্লান্ত হয়ে তলোয়ারের সংগে লেগে রইল। সেই দিন মাবুদ মহাজয় দান করলেন। সৈন্যেরা ইলিয়াসরের কাছে যখন ফিরে আসল তখন লাশগুলোর কাছ থেকে লুট করা ছাড়া তাদের আর কিছু করবার ছিল না।
11. তাঁর পরের জন হলেন হরারীয় আগির ছেলে শম্ম। একবার ফিলিস্তিনীরা মসুর ডালের ক্ষেতে এসে জমায়েত হল, আর ইসরাইলের সৈন্যেরা তাদের কাছ থেকে পালিয়ে গেল।
12. কিন্তু শম্ম সেই ক্ষেতের মাঝখানে দাঁড়িয়ে সেই ক্ষেতটা রক্ষা করলেন এবং ফিলিস্তিনীদের শেষ করে দিলেন। মাবুদ সেই দিন তাদের মহাজয় দান করলেন।
13. একবার ফসল কাটবার সময় ত্রিশ জন বীরের মধ্যে সেই তিনজন নাম-করা বীর অদুল্লম গুহাতে দাউদের কাছে আসলেন। তখন এক দল ফিলিস্তিনী সৈন্য রফায়ীম উপত্যকায় ছাউনি ফেলেছিল।
14. সেই সময় দাউদ মরুভূমির কেল্লার মত একটা জায়গায় ছিলেন আর ফিলিস্তিনী সৈন্যদল ছিল বেথেলহেমে।
15. এমন সময় দাউদের খুব পিপাসা পেল, তাই তিনি বললেন, “আহা, যদি কেউ বেথেলহেমের দরজার কাছের কূয়াটা থেকে আমাকে একটু খাবার পানি এনে দিত!”