3. আমার আল্লাহ্ আমার উঁচু পাহাড়,তাঁরই মধ্যে আমি আশ্রয় নিই।তিনিই আমার ঢাল, আমার রক্ষাকারী শিং,আমার উঁচু কেল্লা, আমার আশ্রয়-স্থান।জুলুমবাজদের হাত থেকে তুমি আমাকে রক্ষা কর।
4. মাবুদ প্রশংসার যোগ্য, আমি তাঁকে ডাকি;তাতে আমার শত্রুদের হাত থেকে আমি রক্ষা পাই।
5. মৃত্যুর ঢেউ আমাকে ঘিরে ধরেছিল,ধ্বংসের স্রোতে আমি তলিয়ে গিয়েছিলাম।
6. কবরের দড়িতে আমি বাঁধা পড়েছিলাম,আমার জন্য পাতা হয়েছিল মৃত্যুর ফাঁদ।
7. আমি এই বিপদে আমার মাবুদ আল্লাহ্কে ডাকলামএবং সাহায্যের জন্য তাঁর কাছে ফরিয়াদ জানালাম।তাঁর বাসস্থান থেকে তিনি আমার গলার আওয়াজ শুনলেন;আমার ফরিয়াদ তাঁর কানে পৌঁছাল।
8. তখন দুনিয়া কেঁপে উঠল আর টলতে লাগল,কেঁপে উঠল আসমানের ভিত্তি;তাঁর রাগে সেগুলো কাঁপতে থাকল।
9. তাঁর নাক থেকে ধোঁয়া উপরে উঠল,তাঁর মুখ থেকে ধ্বংসকারী আগুন বেরিয়ে আসল,তাঁর মুখের আগুনে কয়লা জ্বলে উঠল।
10. তিনি আকাশ নুইয়ে নেমে আসলেন;তাঁর পায়ের নীচে ছিল ঘন কালো মেঘ।
11. তিনি কারুবীতে চড়ে উড়ে আসলেন,দেখা দিলেন বাতাসের ডানায় ভর করে।
12. তিনি অন্ধকার দিয়ে নিজেকে ঘিরে ফেললেন;তাঁর চারপাশে রইল আকাশের ঘন কালো বৃষ্টির মেঘ।
13. তাঁর আলোময় উপস্থিতির সামনেবিদ্যুৎ চম্কে চম্কে উঠতে লাগল।
14. মাবুদ আসমান থেকে গর্জন করলেন;আল্লাহ্তা’লার আওয়াজ শোনা গেল।
15. তিনি তীর ছুঁড়ে শত্রুদের ছড়িয়ে ফেললেনআর বিদ্যুৎ চম্কিয়ে তাদের বিশৃঙ্খল করলেন।
16. মাবুদের ধমকে আর নিঃশ্বাসের ঝাপ্টায়সাগরের তলা দেখা গেল,দুনিয়ার ভিতরটা বেরিয়ে পড়ল।
17. তিনি উপর থেকে হাত বাড়িয়ে আমাকে ধরলেন,গভীর পানির মধ্য থেকে আমাকে টেনে তুললেন।
18. আমার শক্তিমান শত্রুর হাত থেকে তিনি আমাকে বাঁচালেন;বাঁচালেন বিপক্ষদের হাত থেকেযাদের শক্তি আমার চেয়েও বেশী।
19. বিপদের দিনে তারা আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল,কিন্তু মাবুদই আমাকে ধরে রাখলেন।
20. তিনি আমাকে একটা খোলা জায়গায় বের করে আনলেন;আমার উপর সন্তুষ্ট ছিলেন বলেইতিনি আমাকে উদ্ধার করলেন।
21. আমার ন্যায় কাজ অনুসারেই মাবুদ আমাকে দান করলেন,আমার কাজের পবিত্রতা অনুসারে পুরস্কার দিলেন;