10. তালুতের ছেলে ঈশ্বোশৎ চল্লিশ বছর বয়সে ইসরাইল দেশের বাদশাহ্ হয়েছিলেন এবং দু’বছর রাজত্ব করেছিলেন। কিন্তু এহুদা-গোষ্ঠীর লোকেরা দাউদের অধীনে ছিল।
11. দাউদ হেবরনে থেকে এহুদা-গোষ্ঠীর উপর সাড়ে সাত বছর রাজত্ব করেছিলেন।
12. এক দিন নেরের ছেলে অবনের তালুতের ছেলে ঈশ্বোশতের লোকদের নিয়ে মহনয়িম থেকে গিবিয়োনে গেলেন।
13. তখন সরূয়ার ছেলে যোয়াব ও দাউদের লোকেরা বের হয়ে আসলেন। গিবিয়োনের পুকুরের কাছে এই দুই দল সামনাসামনি হল। এক দল বসল পুকুরের এপারে আর অন্য দল বসল পুকুরের ওপারে।
14. তখন অবনের যোয়াবকে বললেন, “দু’দলের কয়েকজন যুবক উঠে আমাদের সামনে যুদ্ধ করুক।”যোয়াব বললেন, “ভাল, তা-ই হোক।”
15. বিন্যামীন-গোষ্ঠীর ও তালুতের ছেলে ঈশ্বোশতের পক্ষ থেকে বারোজনকে আর দাউদের পক্ষ থেকে বারোজনকে যুদ্ধ করবার জন্য বেছে নেওয়া হল।
16. তখন দুই দলের লোকেরা প্রত্যেকেই একে অন্যের মাথা ধরে পাঁজরে ছোরা ঢুকিয়ে দিল এবং একসংগে মাটিতে পড়ে মারা গেল। সেইজন্য গিবিয়োনের সেই জায়গাটার নাম দেওয়া হল হিল্কৎ-হৎসূরীম (যার মানে “ছোরার মাঠ”)।
17. সেই দিন এক ভীষণ যুদ্ধ হল আর তাতে অবনের ও ইসরাইলের লোকেরা দাউদের লোকদের কাছে হেরে গেল।
18. যোয়াব, অবীশয় ও অসাহেল নামে সরূয়ার তিন ছেলে সেখানে ছিল। অসাহেল বুনো হরিণের মত জোরে দৌড়াতে পারত।
19. সে অবনেরের পিছনে তাড়া করল এবং ডানে-বাঁয়ে না গিয়ে সোজা তাঁর পিছনে পিছনে ছুটল।
20. অবনের পিছন ফিরে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি অসাহেল?”অসাহেল বলল, “জ্বী, ঠিক বলেছেন।”
21. তখন অবনের তাকে বললেন, “তুমি ডানে বা বাঁয়ে ফিরে কোন যুবককে হারিয়ে দিয়ে তার যুদ্ধের সাজ-সরঞ্জাম নিয়ে নাও।” কিন্তু অসাহেল তাঁর পিছনে তাড়া করেই চলল।
22. অবনের অসাহেলকে আবার বললেন, “থাম, আমাকে তাড়া কোরো না। আমি তোমাকে মেরে ফেলতে চাই না। তা করলে আমি কেমন করে তোমার ভাই যোয়াবকে মুখ দেখাব?”
23. অসাহেল তবুও ফিরতে রাজী হল না। তখন অবনের তাঁর বর্শার পিছন দিকটা অসাহেলের পেটের ভিতরে এমনভাবে ঢুকিয়ে দিলেন যে, বর্শাটা তার পিঠ ফুঁড়ে বের হল। অসাহেল সেখানেই পড়ে মারা গেল। অসাহেল যে জায়গায় পড়ে মারা গিয়েছিল যত লোক সেই জায়গায় আসল তারা প্রত্যেকে সেখানে দাঁড়িয়ে রইল,