29. বাদশাহ্ তাকে বললেন, “তোমার আর কিছু বলবার দরকার নেই। তুমি আর সীবঃ জমাজমি ভাগ করে নাও।”
30. মফীবোশৎ বাদশাহ্কে বলল, “সে-ই সব কিছু নিক। আমার প্রভু মহারাজ নিরাপদে বাড়ী ফিরে এসেছেন সেটাই আমার পক্ষে যথেষ্ট।”
31. বাদশাহ্ জেরুজালেমে ফিরে আসবার আগে গিলিয়দীয় বর্সিল্লয় রোগলীম থেকে এসে বাদশাহ্কে বিদায় দেবার জন্য তাঁর সংগে জর্ডান নদীর পারে এসেছিলেন।
32. বর্সিল্লয় খুব বুড়ো হয়ে গিয়েছিলেন; তাঁর বয়স ছিল আশি বছর। বাদশাহ্ যখন মহনয়িমে ছিলেন তখন তিনিই তাঁর জন্য খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন, কারণ তিনি খুব ধনী লোক ছিলেন।
33. বাদশাহ্ বর্সিল্লয়কে বললেন, “আমার সংগে পার হয়ে এসে জেরুজালেমে আমার কাছে থাকুন। আমিই আপনাকে পালন করব।”
34. কিন্তু জবাবে বর্সিল্লয় বাদশাহ্কে বললেন, “আমি আর কয় বছরই বা বাঁচব যে, আমি বাদশাহ্র সংগে জেরুজালেমে যাব?
35. আমার বয়স এখন আশি বছর। কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ তা কি এখন আর আমি বলতে পারি? আপনার গোলাম আমি এখন যা খাই তার স্বাদ কি আমি বুঝতে পারি? গায়ক-গায়িকাদের গান কি আমি এখনও শুনতে পাই? আপনার এই গোলাম কেন আমার প্রভু মহারাজের একটা বাড়তি বোঝা হবে?
36. মহারাজ কেন আমাকে এইভাবে পুরস্কার দেবেন? না, না, আমি মাত্র আপনার সংগে জর্ডান পার হয়ে যাব,