5. যোয়াব, অবীশয় ও ইত্তয়কে বাদশাহ্ হুকুম দিয়ে বললেন, “আমার মুখ চেয়ে তোমরা সেই যুবক অবশালোমের সংগে নরম ব্যবহার কোরো।” অবশালোম সম্বন্ধে বাদশাহ্ যখন সেনাপতিদের হুকুম দিচ্ছিলেন তখন সৈন্যেরা সবাই তা শুনেছিল।
6. বনি-ইসরাইলদের সংগে যুদ্ধ করবার জন্য সৈন্যদল বের হয়ে গেল। আফরাহীমের বনে যুদ্ধ হল।
7. সেখানে দাউদের লোকদের কাছে ইসরাইলের সৈন্যদল হেরে গেল। সেই দিন ভীষণ যুদ্ধ হল এবং বিশ হাজার লোক মারা পড়ল।
8. যুদ্ধটা সমস্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ল এবং যুদ্ধে যত না লোক মরল তার চেয়ে বেশী মরল বনের জন্য।
9. অবশালোম হঠাৎ দাউদের লোকদের সামনে পড়ল। সে তখন তার খ"চরে চড়ে যাচ্ছিল। খ"চরটা বড় একটা এলোন গাছের ঘন ডালপালার তলা দিয়ে যাবার সময় অবশালোমের মাথাটা গাছে আটকে গেল। যে খ"চরের উপর সে চড়ে যাচ্ছিল সেটা চলে গেল আর সে শূন্যে ঝুলে রইল।
10. একজন লোক তা দেখে যোয়াবকে গিয়ে বলল, “আমি এক্ষুনি দেখলাম অবশালোম একটা এলোন গাছে ঝুলে রয়েছেন।”
11. যোয়াব সেই লোকটিকে বললেন, “কি বললে? তুমি তাকে দেখেছ? তুমি সেখানেই তাকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দিলে না কেন? তা করলে আমি তো তোমাকে দশ শেখেল রূপা আর যোদ্ধার একটা কোমর-বাঁধনি দিতাম।”
12. লোকটি জবাবে বলল, “আমার হাতে এক হাজার শেখেল রূপা মেপে দিলেও আমি বাদশাহ্র ছেলের শরীরে হাত তুলতাম না। আমরা শুনেছি বাদশাহ্ আপনাকে, অবীশয়কে ও ইত্তয়কে এই হুকুম দিয়েছেন, ‘তোমরা সেই যুবক অবশালোমকে রক্ষা কোরো।’
13. আমি যদি তাঁর প্রতি বেঈমানী করতাম তাহলে বাদশাহ্ নিশ্চয়ই জানতে পারতেন, কারণ বাদশাহ্র কাছে তো কিছুই লুকানো থাকে না, আর তখন আপনিও আমার পক্ষে থাকতেন না।”
14. যোয়াব বললেন, “আমি তোমার সংগে এইভাবে সময় নষ্ট করতে পারি না।” এই বলে তিনি তিনটা ধারালো খোঁচা হাতে নিয়ে অবশালোমের বুকে বিঁধিয়ে দিলেন। তখনও অবশালোম এলোন গাছের মধ্যে জীবিত ছিল।