9. তারপর তাওয়াতে করেই সে পিঠা নিয়ে গিয়ে তার সামনে দিল, কিন্তু অম্নোন তা খেতে চাইল না।অম্নোন সবাইকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলল, তাতে সবাই বের হয়ে গেল।
10. তখন অম্নোন তামরকে বলল, “খাবার নিয়ে তুমি আমার শোবার কামরায় এস। আমি তোমার হাতেই খাব।” কাজেই তামর তার তৈরী করা পিঠাগুলো নিয়ে তার ভাই অম্নোনের শোবার কামরায় গেল।
11. কিন্তু খাওয়ার জন্য যখন সে তা তার কাছে নিয়ে গেল তখন সে তাকে ধরে বলল, “বোন, তুমি আমার সংগে শোও।”
12. তামর তাকে বলল, “না ভাই, না; তুমি আমার ইজ্জত নষ্ট কোরো না। ইসরাইলীয়দের মধ্যে এমন কাজ করা উচিত নয়। এই রকম জঘন্য কাজ তুমি কোরো না।
13. আমার কি হবে? কেমন করে আমি এই কলঙ্কের মুখ লোকদের দেখাব? আর তোমাকেও ইসরাইলীয়দের মধ্যে একজন খারাপ লোক বলে সবাই জানবে। মিনতি করি, তুমি বরং বাদশাহ্র কাছে গিয়ে বল; তাহলে তিনি তোমার হাতে আমাকে দিতে অমত করবেন না।”
14. কিন্তু অম্নোন তামরের কথা শুনল না। তামরের চেয়ে শক্তিশালী হওয়াতে সে তার ইজ্জত নষ্ট করল।
15. এর পরে অম্নোন তাকে ভীষণ ঘৃণা করতে লাগল। আসলে সে তাকে যতখানি ভালবেসেছিল এখন তার চেয়েও বেশী ঘৃণা করতে লাগল। অম্নোন তাকে বলল, “তুমি উঠে চলে যাও।”
16. তামর তাকে বলল, “না, তুমি আমার প্রতি যে অন্যায় করেছ এখন আমাকে বের করে দিলে তার চেয়েও বেশী অন্যায় করা হবে।”কিন্তু অম্নোন তার কথা শুনতে চাইল না।
17. সে তার নিজের চাকরকে ডেকে বলল, “এই মেয়েছেলেটিকে বাইরে বের করে দিয়ে দরজায় খিল লাগিয়ে দাও।”
18. চাকরটি তখন তামরকে বের করে দিয়ে দরজায় খিল লাগিয়ে দিল। মেয়েটির গায়ে জুব্বা ছিল, কারণ বাদশাহ্র অবিবাহিতা মেয়েরা এই রকম পোশাকই পরত।
19. তখন তামর নিজের মাথায় ছাই দিল এবং তার পরনের জুব্বা ছিঁড়ে ফেলল। তারপর সে মাথায় হাত দিয়ে জোরে জোরে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।