15. এর পরে অম্নোন তাকে ভীষণ ঘৃণা করতে লাগল। আসলে সে তাকে যতখানি ভালবেসেছিল এখন তার চেয়েও বেশী ঘৃণা করতে লাগল। অম্নোন তাকে বলল, “তুমি উঠে চলে যাও।”
16. তামর তাকে বলল, “না, তুমি আমার প্রতি যে অন্যায় করেছ এখন আমাকে বের করে দিলে তার চেয়েও বেশী অন্যায় করা হবে।”কিন্তু অম্নোন তার কথা শুনতে চাইল না।
17. সে তার নিজের চাকরকে ডেকে বলল, “এই মেয়েছেলেটিকে বাইরে বের করে দিয়ে দরজায় খিল লাগিয়ে দাও।”
18. চাকরটি তখন তামরকে বের করে দিয়ে দরজায় খিল লাগিয়ে দিল। মেয়েটির গায়ে জুব্বা ছিল, কারণ বাদশাহ্র অবিবাহিতা মেয়েরা এই রকম পোশাকই পরত।
19. তখন তামর নিজের মাথায় ছাই দিল এবং তার পরনের জুব্বা ছিঁড়ে ফেলল। তারপর সে মাথায় হাত দিয়ে জোরে জোরে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল।
20. তামরের ভাই অবশালোম তাকে জিজ্ঞাসা করল, “তোমার ভাই অম্নোন কি তোমার ইজ্জত নষ্ট করেছে? বোন আমার, তুমি এই ব্যাপার সম্বন্ধে কাউকে কিছু বোলো না, কারণ সে তোমার ভাই। তুমি এই বিষয় নিয়ে মন খারাপ কোরো না।” সেই থেকে তামর তার ভাই অবশালোমের বাড়ীতে মন মরা হয়ে থাকতে লাগল।
21. বাদশাহ্ দাউদ এই কথা শুনে ভীষণ রেগে গেলেন।
22. অবশালোম অম্নোনকে ভাল-মন্দ কিছুই বলল না। তার বোন তামরের ইজ্জত নষ্ট করেছে বলে সে অম্নোনকে ঘৃণা করতে লাগল।
23. এর দু’বছর পর আফরাহীমের সীমানার কাছে বাল-হাৎসোরে অবশালোমের ভেড়ার লোম কাটা হচ্ছিল। তখন অবশালোম বাদশাহ্র সব ছেলেদের সেখানে যাবার দাওয়াত করল।
24. সে বাদশাহ্র কাছে গিয়ে বলল, “আপনার গোলামের ভেড়ার লোম কাটা হচ্ছে। বাদশাহ্ কি তাঁর কর্মচারীদের নিয়ে আমার কাছে আসবেন?”
25. জবাবে বাদশাহ্ বললেন, “না বাবা, আমরা সবাই যাব না; গেলে কেবল তোমার বোঝাই বাড়বে।” অবশালোম তাঁকে পীড়াপীড়ি করলেও তিনি যেতে রাজী হলেন না, কিন্তু তাকে দোয়া করলেন।
26. অবশালোম তখন বাদশাহ্কে বলল, “যদি আপনি না-ই যান তবে আমার ভাই অম্নোনকে আমাদের সংগে যেতে দিন।”বাদশাহ্ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন সে তোমাদের সংগে যাবে?”
27. কিন্তু অবশালোম পীড়াপীড়ি করলে তিনি অম্নোনকে এবং তার সংগে সব রাজপুত্রদের পাঠিয়ে দিলেন।
28. অবশালোম তার লোকদের এই হুকুম দিল, “দেখ, আংগুর-রস খেয়ে যখন অম্নোনের মন খুব খুশী হয়ে উঠবে তখন আমি তোমাদের বলব, ‘অম্নোনকে হত্যা কর,’ আর তোমরা তাকে হত্যা করবে। তোমরা ভয় কোরো না। আমিই তো তোমাদের সেই হুকুম দিচ্ছি। তোমরা সাহস কর ও শক্তিশালী হও।”
29. কাজেই অবশালোমের হুকুম অনুসারেই তার লোকেরা অম্নোনকে হত্যা করল। এই ঘটনা দেখে বাদশাহ্র আর সব ছেলেরা যে যার খ"চরে চড়ে পালিয়ে গেল।
30. তারা পথে থাকতেই দাউদের কানে এই খবর আসল যে, অবশালোম বাদশাহ্র সব ছেলেদের হত্যা করেছে, তাদের একজনও বেঁচে নেই।
31. এই কথা শুনে বাদশাহ্ উঠে দাঁড়িয়ে নিজের কাপড় ছিঁড়ে মাটিতে শুয়ে পড়লেন। তাঁর কর্মচারীরা সবাই নিজের নিজের কাপড় ছিঁড়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে রইল।