15. নাথন নিজের বাড়ীতে ফিরে গেলেন। পরে উরিয়ার স্ত্রীর গর্ভে দাউদের যে ছেলেটির জন্ম হয়েছিল মাবুদের আঘাতে সে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ল।
16. তখন দাউদ ছেলেটির জন্য আল্লাহ্র কাছে মিনতি করতে লাগলেন। তিনি রোজা রাখলেন এবং তাঁর ঘরে গিয়ে মাটিতে শুয়ে রাত কাটাতে লাগলেন।
17. রাজবাড়ীর উঁচু পদের কর্মচারীরা তাঁকে মাটি থেকে উঠাবার জন্য তাঁর কাছে গেলেন, কিন্তু তিনি রাজী হলেন না এবং তাঁদের সংগে খাওয়া-দাওয়াও করলেন না।
18. অসুখের সাত দিনের দিন ছেলেটি মারা গেল। ছেলেটি যে মারা গেছে সেই কথা দাউদকে জানাতে তাঁর সেই কর্মচারীদের সাহস হল না। তাঁরা বললেন, “ছেলেটি যখন বেঁচে ছিল তখন আমরা তাঁকে বললেও তিনি আমাদের কথা কানে তোলেন নি। এখন আমরা কেমন করে বলব যে, ছেলেটি মারা গেছে? বললে হয়তো তিনি নিজের কোন ক্ষতি করে বসবেন।”
19. কর্মচারীদের মধ্যে এই কানাকানি দেখে দাউদ বুঝতে পারলেন যে, ছেলেটি মারা গেছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “ছেলেটি কি মারা গেছে?”জবাবে তাঁরা বললেন, “জ্বী, মারা গেছে।”
20. দাউদ তখন মাটি থেকে উঠে গোসল করে তেল মাখলেন এবং কাপড়-চোপড় বদলে তিনি মাবুদের ঘরে গিয়ে সেজদায় পড়ে তাঁর এবাদত করলেন। তারপর নিজের ঘরে ফিরে এসে খাবার আনবার হুকুম দিলেন। পরে তাঁর সামনে খাবার রাখা হলে তিনি খেলেন।
21. এতে তাঁর সেই কর্মচারীরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি এই রকম করলেন কেন? ছেলেটি বেঁচে থাকতে আপনি রোজা রাখলেন ও কাঁদলেন, কিন্তু সে যখন মারা গেল তখন আপনি উঠে খাওয়া-দাওয়া করলেন।”
22. দাউদ বললেন, “ছেলেটি বেঁচে থাকতে আমি রোজা রেখেছি আর কেঁদেছি, কারণ আমি ভেবেছিলাম, কি জানি মাবুদ আমাকে রহমত দান করবেন আর তাতে সে বেঁচে যাবে।
23. কিন্তু এখন যখন সে মারাই গেল তখন আমি আর কি জন্য রোজা রাখব? আমি কি তাকে আর ফিরিয়ে আনতে পারব? আমাকেই তার কাছে যেতে হবে। সে আর আমার কাছে ফিরে আসবে না।”
24-25. দাউদ তাঁর স্ত্রী বৎশেবাকে সান্ত্বনা দিলেন এবং তিনি আবার তাঁর সংগে শুলেন। পরে তাঁর একটি ছেলে হল। দাউদ তাঁর নাম রাখলেন সোলায়মান। মাবুদ ছেলেটিকে মহব্বত করতেন বলে তাঁর নাম যিদীদীয় রাখবার জন্য নবী নাথনকে পাঠিয়ে দিলেন।