12. তুমি সেই কাজ করেছ গোপনে কিন্তু আমি এই কাজ করব সকলের সামনে, সমস্ত বনি-ইসরাইলদের চোখের সামনে।’ ”
13. তখন দাউদ নাথনকে বললেন, “আমি মাবুদের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করেছি।”জবাবে নাথন বললেন, “মাবুদ আপনার গুনাহ্ মাফ করলেন; আপনি মারা যাবেন না।
14. কিন্তু এই কাজ করে আপনি মাবুদের শত্রুদের কুফরী করবার একটা বড় সুযোগ করে দিয়েছেন। সেইজন্য আপনার যে ছেলেটি জন্মেছে সে অবশ্যই মারা যাবে।”
15. নাথন নিজের বাড়ীতে ফিরে গেলেন। পরে উরিয়ার স্ত্রীর গর্ভে দাউদের যে ছেলেটির জন্ম হয়েছিল মাবুদের আঘাতে সে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ল।
16. তখন দাউদ ছেলেটির জন্য আল্লাহ্র কাছে মিনতি করতে লাগলেন। তিনি রোজা রাখলেন এবং তাঁর ঘরে গিয়ে মাটিতে শুয়ে রাত কাটাতে লাগলেন।
17. রাজবাড়ীর উঁচু পদের কর্মচারীরা তাঁকে মাটি থেকে উঠাবার জন্য তাঁর কাছে গেলেন, কিন্তু তিনি রাজী হলেন না এবং তাঁদের সংগে খাওয়া-দাওয়াও করলেন না।
18. অসুখের সাত দিনের দিন ছেলেটি মারা গেল। ছেলেটি যে মারা গেছে সেই কথা দাউদকে জানাতে তাঁর সেই কর্মচারীদের সাহস হল না। তাঁরা বললেন, “ছেলেটি যখন বেঁচে ছিল তখন আমরা তাঁকে বললেও তিনি আমাদের কথা কানে তোলেন নি। এখন আমরা কেমন করে বলব যে, ছেলেটি মারা গেছে? বললে হয়তো তিনি নিজের কোন ক্ষতি করে বসবেন।”
19. কর্মচারীদের মধ্যে এই কানাকানি দেখে দাউদ বুঝতে পারলেন যে, ছেলেটি মারা গেছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “ছেলেটি কি মারা গেছে?”জবাবে তাঁরা বললেন, “জ্বী, মারা গেছে।”
20. দাউদ তখন মাটি থেকে উঠে গোসল করে তেল মাখলেন এবং কাপড়-চোপড় বদলে তিনি মাবুদের ঘরে গিয়ে সেজদায় পড়ে তাঁর এবাদত করলেন। তারপর নিজের ঘরে ফিরে এসে খাবার আনবার হুকুম দিলেন। পরে তাঁর সামনে খাবার রাখা হলে তিনি খেলেন।
21. এতে তাঁর সেই কর্মচারীরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি এই রকম করলেন কেন? ছেলেটি বেঁচে থাকতে আপনি রোজা রাখলেন ও কাঁদলেন, কিন্তু সে যখন মারা গেল তখন আপনি উঠে খাওয়া-দাওয়া করলেন।”
22. দাউদ বললেন, “ছেলেটি বেঁচে থাকতে আমি রোজা রেখেছি আর কেঁদেছি, কারণ আমি ভেবেছিলাম, কি জানি মাবুদ আমাকে রহমত দান করবেন আর তাতে সে বেঁচে যাবে।