24. তখন যেহূ সমস্ত শক্তি দিয়ে নিজের ধনুকে টান দিয়ে যোরামের দুই কাঁধের মাঝখানে তীর ছুঁড়লেন। তীর গিয়ে তাঁর হৃদপিণ্ডে বিঁধল এবং তিনি রথের মধ্যে পড়ে গেলেন।
25. তখন যেহূ তাঁর সংগের সেনাপতি বিদ্করকে বললেন, “ওকে তুলে নিয়ে যিষ্রিয়েলীয় নাবোতের জমিতে ফেলে দাও। মনে করে দেখ, আমি আর তুমি তাঁর পিতা আহাবের পিছনে রথে করে যখন যাচ্ছিলাম তখন মাবুদ আহাবের বিরুদ্ধে এই কথা বলেছিলেন,
26. ‘আমি মাবুদ বলছি, গতকাল আমি নাবোত ও তার ছেলেদের রক্ত দেখেছি, আর এই জমির উপরেই তোমার কাছ থেকে নিশ্চয়ই আমি তার প্রতিশোধ নেব।’ তাহলে তুমি এখন মাবুদের কথা অনুসারে ওকে তুলে নিয়ে ঐ জমিতে ফেলে দাও।”
27. যা ঘটেছে তা দেখে এহুদার বাদশাহ্ অহসিয় বৈৎ-হাগ্গানের পথ ধরে পালিয়ে গেলেন। যেহূ তাঁর পিছনে তাড়া করে যেতে যেতে চিৎকার করে বললেন, “ওকেও মেরে ফেল।” তখন লোকেরা যিব্লিয়মের কাছে গূর নামে উঠবার পথে অহসিয়কে তাঁর রথের মধ্যে আঘাত করল, কিন্তু তিনি মগিদ্দোতে পালিয়ে গেলেন আর সেখানেই মারা গেলেন।
28. তাঁর কর্মচারীরা তাঁকে রথে করে জেরুজালেমে নিয়ে গেল এবং দাউদ-শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে তাঁর জন্য ঠিক করা কবরে তাঁকে দাফন করল।
29. আহাবের ছেলে যোরামের রাজত্বের এগারো বছরের সময় অহসিয় এহুদার বাদশাহ্ হয়েছিলেন।
30. এর পর যেহূ যিষ্রিয়েলে গেলেন। ঈষেবল সেই কথা শুনে চোখে কাজল দিয়ে ও সুন্দর করে চুল বেঁধে জানালা দিয়ে চেয়ে দেখলেন।
31. যেহূ যখন দরজা দিয়ে ঢুকছিলেন তখন ঈষেবল তাঁকে বললেন, “ওহে সিম্রির মত খুনী, নিজের মালিকের হত্যাকারী! তোমার আসবার উদ্দেশ্য কি ভাল?”
32. যেহূ তখন উপরে জানালার দিকে চেয়ে বললেন, “আমার পক্ষে কে আছে? কে আছে?” তখন দুই-তিনজন খোজা উপর থেকে তাঁর দিকে চেয়ে দেখল।