9. হসায়েল তখন উপহার হিসাবে দামেস্কের সবচেয়ে ভাল ভাল জিনিস চল্লিশটা উটের পিঠে বোঝাই করে নিয়ে আল-ইয়াসার সংগে দেখা করতে গেলেন। তিনি আল-ইয়াসার সামনে দাঁড়িয়ে তাঁকে বললেন, “আপনার পুত্র সিরিয়ার বাদশাহ্ বিন্হদদ এই কথা জিজ্ঞাসা করতে আমাকে পাঠিয়েছেন যে, তিনি এই অসুখ থেকে ভাল হবেন কি না।”
10. জবাবে আল-ইয়াসা বললেন, “তুমি গিয়ে তাঁকে বল যে, তিনি নিশ্চয়ই ভাল হয়ে উঠবেন, কিন্তু মাবুদ আমার কাছে প্রকাশ করেছেন যে, আসলে তিনি মারা যাবেন।”
11. এই বলে হসায়েল লজ্জা না পাওয়া পর্যন্ত আল-ইয়াসা তার দিকে তাকিয়েই রইলেন। তারপর আল্লাহ্র বান্দা কাঁদতে শুরু করলেন।
12. হসায়েল জিজ্ঞাসা করলেন, “হুজুর কেন কাঁদছেন?”জবাবে আল-ইয়াসা বললেন, “কারণ তুমি বনি-ইসরাইলদের কি ক্ষতি করবে তা আমি জানি। তুমি তাদের কেল্লাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেবে, তলোয়ারের আঘাতে তাদের যুবকদের হত্যা করবে, তাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মাটিতে আছাড় মারবে এবং তাদের গর্ভবতী স্ত্রীলোকদের পেট চিরে দেবে।”
13. তখন হসায়েল বললেন, “মাত্র একটা কুকুরের মত আপনার এই গোলাম কেমন করে এই সাহসের কাজ করবে?”আল-ইয়াসা বললেন, “তুমি যে সিরিয়ার বাদশাহ্ হবে তা মাবুদই আমাকে দেখিয়ে দিয়েছেন।”
14. এর পর হসায়েল আল-ইয়াসার কাছ থেকে তাঁর মালিকের কাছে ফিরে গেলেন। বিন্হদদ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আল-ইয়াসা তোমাকে কি বলেছেন?” হসায়েল জবাবে বললেন, “তিনি আমাকে বলেছেন আপনি নিশ্চয়ই ভাল হবেন।”
15. কিন্তু তার পরের দিন হসায়েল একটা কম্বল পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে বাদশাহ্র মুখের উপর চাপা দিলেন, আর তাতে বাদশাহ্ মারা গেলেন। তারপর হসায়েল বিন্হদদের জায়গায় বাদশাহ্ হলেন।
16. ইসরাইলের বাদশাহ্ আহাবের ছেলে যোরামের রাজত্বের পঞ্চম বছরে যখন যিহোশাফট এহুদার বাদশাহ্ ছিলেন তখন যিহোশাফটের ছেলে যিহোরাম এহুদায় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
17. যিহোরাম বত্রিশ বছর বয়সে বাদশাহ্ হয়েছিলেন এবং আট বছর ধরে জেরুজালেমে রাজত্ব করেছিলেন।
18. আহাবের বংশের লোকদের মতই তিনি ইসরাইলের বাদশাহ্দের পথে চলতেন, কারণ তিনি আহাবের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। মাবুদের চোখে যা খারাপ তিনি তা-ই করতেন।
19. তবুও মাবুদ নিজের গোলাম দাউদের কথা মনে করে এহুদাকে ধ্বংস করতে চাইলেন না, কারণ তিনি দাউদ ও তাঁর বংশধরদের চিরকাল একটা বাতি দেবেন বলে ওয়াদা করেছিলেন।
20. যিহোরামের সময়ে ইদোম দেশের লোকেরা এহুদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নিজেদের জন্য একজন বাদশাহ্ ঠিক করে নিয়েছিল।
21. কাজেই যিহোরাম তাঁর সব রথ নিয়ে সায়ীরে গেলেন। ইদোমীয়রা তাঁকে ও তাঁর রথের সেনাপতিদের ঘেরাও করল, কিন্তু তিনি রাতের বেলায় উঠে ঘেরাও ভেংগে বেরিয়ে গেলেন আর তাঁর সৈন্যেরা পালিয়ে বাড়ী চলে আসল।
22. ইদোম আজও এহুদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে আছে। একই সময়ে লিব্নাও বিদ্রোহ করেছিল।
23. যিহোরামের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা “এহুদার বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
24. পরে যিহোরাম তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁকে দাউদ-শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে দাফন করা হল। তাঁর ছেলে অহসিয় তাঁর জায়গায় বাদশাহ্ হলেন।