20. যিহোরামের সময়ে ইদোম দেশের লোকেরা এহুদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নিজেদের জন্য একজন বাদশাহ্ ঠিক করে নিয়েছিল।
21. কাজেই যিহোরাম তাঁর সব রথ নিয়ে সায়ীরে গেলেন। ইদোমীয়রা তাঁকে ও তাঁর রথের সেনাপতিদের ঘেরাও করল, কিন্তু তিনি রাতের বেলায় উঠে ঘেরাও ভেংগে বেরিয়ে গেলেন আর তাঁর সৈন্যেরা পালিয়ে বাড়ী চলে আসল।
22. ইদোম আজও এহুদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে আছে। একই সময়ে লিব্নাও বিদ্রোহ করেছিল।
23. যিহোরামের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা “এহুদার বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
24. পরে যিহোরাম তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং তাঁকে দাউদ-শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে দাফন করা হল। তাঁর ছেলে অহসিয় তাঁর জায়গায় বাদশাহ্ হলেন।
25. ইসরাইলের বাদশাহ্ আহাবের ছেলে যোরামের রাজত্বের বারো বছরের সময় এহুদার বাদশাহ্ যিহোরামের ছেলে অহসিয় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
26. তিনি যখন বাদশাহ্ হলেন তখন তাঁর বয়স ছিল বাইশ বছর এবং তিনি এক বছর জেরুজালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মা অথলিয়া ছিলেন ইসরাইলের বাদশাহ্ অম্রির নাত্নী।
27. অহসিয় আহাবের বংশের লোকদের মতই চলতেন এবং তাদের মতই মাবুদের চোখে যা খারাপ তিনি তা-ই করতেন, কারণ বিয়ের মধ্য দিয়ে আহাবের পরিবারের সংগে তাঁর সম্বন্ধ হয়েছিল।
28-29. সিরিয়ার বাদশাহ্ হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য অহসিয় আহাবের ছেলে যোরামের সংগে রামোৎ-গিলিয়দে গেলেন। তখন সিরীয়রা যোরামকে আঘাত করল। সেই আঘাত থেকে ভাল হবার জন্য যোরাম যিষ্রিয়েলে ফিরে গেলেন। আহাবের ছেলে যোরাম আঘাত পেয়েছিলেন বলে এহুদার বাদশাহ্ যিহোরামের ছেলে অহসিয় তাঁকে দেখবার জন্য যিষ্রিয়েলে গেলেন।