17. বাদশাহ্ বললেন, “আমি যে স-ম্ভটা দেখতে পাচ্ছি সেটা কি?”শহরের লোকেরা বলল, “ওটা আল্লাহ্র বান্দার কবরের চিহ্ন। তিনি এহুদা থেকে এসে বেথেলের বেদীর বিরুদ্ধে যা ঘোষণা করেছিলেন আপনি ঠিক তা-ই করেছেন।”
18. তিনি বললেন, “ওটা থাকুক; কেউ যেন তাঁর হাড়গুলো নষ্ট না করে।” সেইজন্য লোকেরা তাঁর হাড়গোড় এবং যে নবী সামেরিয়া থেকে এসেছিলেন তাঁর হাড়গোড় যেমন ছিল তেমনই থাকতে দিল।
19. সামেরিয়ার শহর ও গ্রামগুলোর পূজার উঁচু স্থানে ইসরাইলের বাদশাহ্রা যে সব মন্দির তৈরী করে মাবুদকে রাগিয়ে তুলেছিলেন ইউসিয়া সেগুলো ধ্বংস করে দিলেন এবং সেগুলোর অবস্থা বেথেলের উঁচু স্থানের মত করলেন।
20. ইউসিয়া ঐ সব বেদীর উপরে সেখানকার পুরোহিতদের জবাই করলেন এবং সেগুলোর উপর মানুষের হাড় পোড়ালেন। তারপর তিনি জেরুজালেমে ফিরে গেলেন।
21. এর পর বাদশাহ্ সব লোকদের এই হুকুম দিলেন, “ব্যবস্থার কিতাবে যেমন লেখা আছে তেমনি করে আপনারা আপনাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে উদ্ধার-ঈদ পালন করুন।”
22. বনি-ইসরাইলদের শাসনকর্তাদের আমলে কিংবা ইসরাইল ও এহুদার বাদশাহ্দের আমলে এই রকম উদ্ধার-ঈদ পালন করা হয় নি।
23. কিন্তু বাদশাহ্ ইউসিয়ার রাজত্বের আঠারো বছরের সময় জেরুজালেমে মাবুদের উদ্দেশে এই উদ্ধার-ঈদ পালন করা হল।
24. এছাড়া যারা ভূতের মাধ্যম হয় এবং যারা খারাপ রূহের সংগে সম্বন্ধ রাখে ইউসিয়া তাদের দূর করে দিলেন। তিনি পারিবারিক দেবমূর্তি, প্রতিমা এবং এহুদা ও জেরুজালেমে যে সব জঘন্য জিনিস দেখতে পেলেন সেগুলোও সব দূর করে দিলেন। ইমাম হিল্কিয় মাবুদের ঘরে শরীয়ত লেখা যে কিতাব খুঁজে পেয়েছিলেন তার সব কথা যেন ঠিকভাবে পালন করা হয় সেইজন্য ইউসিয়া এই কাজ করেছিলেন।
25. তিনি তাঁর সমস্ত মন, প্রাণ ও শক্তি দিয়ে মূসার সমস্ত শরীয়ত অনুসারে মাবুদের পথে চলতেন। তাঁর আগে বা পরে আর কোন বাদশাহ্ই তাঁর মত ছিলেন না।