1. সেই সময়ে হিষ্কিয় অসুস্থ হয়ে মরবার মত হয়েছিলেন। তখন আমোজের ছেলে নবী ইশাইয়া তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, “মাবুদ বলছেন যে, আপনি যেন আপনার ঘরের ব্যবস্থা করে রাখেন, কারণ আপনি মারা যাবেন, ভাল হবেন না।”
2. এই কথা শুনে হিষ্কিয় দেয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে মাবুদের কাছে মুনাজাত করে বললেন,
3. “হে মাবুদ, তুমি মনে করে দেখ আমি তোমার সামনে কেমন বিশ্বস্তভাবে ও সমস্ত দিলের ভয় করে চলাফেরা করেছি এবং তোমার চোখে যা ঠিক তা করেছি।” এই বলে হিষ্কিয় খুব কাঁদতে লাগলেন।
4. ইশাইয়া রাজবাড়ীর মাঝখানের উঠান পার হয়ে যেতে না যেতেই মাবুদের এই কালাম তাঁর উপর নাজেল হল,
5. “তুমি ফিরে গিয়ে আমার বান্দাদের নেতা হিষ্কিয়কে বল যে, তার পূর্বপুরুষ দাউদের মাবুদ আল্লাহ্ এই কথা বলছেন, ‘আমি তোমার মুনাজাত শুনেছি ও তোমার চোখের পানি দেখেছি। আমি তোমাকে সুস্থ করব। এখন থেকে তিন দিনের দিন তুমি মাবুদের ঘরে যাবে।
6. তোমার আয়ু আমি আরও পনেরো বছর বাড়িয়ে দিলাম। আর আশেরিয়ার বাদশাহ্র হাত থেকে আমি তোমাকে ও এই শহরকে উদ্ধার করব। আমার জন্য ও আমার গোলাম দাউদের জন্য আমি এই শহরকে রক্ষা করব।’ ”
7. ইশাইয়া বললেন, “ডুমুরের একটা চাক নিয়ে এস।” লোকেরা তা এনে হিষ্কিয়ের ফোড়ার উপরে দিলে তিনি সুস্থ হলেন।
8. এর আগে হিষ্কিয় ইশাইয়াকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “মাবুদ যে আমাকে সুস্থ করবেন এবং এখন থেকে তিন দিনের দিন আমি মাবুদের ঘরে যেতে পারব তার চিহ্ন কি?”
9. জবাবে ইশাইয়া বলেছিলেন, “মাবুদ যে তাঁর ওয়াদা রক্ষা করবেন সেইজন্য তিনি একটি চিহ্ন দেবেন। আপনি বলুন, ছায়া কি দশ ধাপ এগিয়ে যাবে, না দশ ধাপ পিছিয়ে যাবে?”
10. হিষ্কিয় বলেছিলেন, “ছায়া দশ ধাপ এগিয়ে যাওয়া সহজ ব্যাপার, বরং তা দশ ধাপ পিছিয়ে যাক।”
11. তখন নবী ইশাইয়া মাবুদকে ডেকেছিলেন। তাতে আহসের সিঁড়ি থেকে ছায়াটা যত ধাপ নেমে গিয়েছিল মাবুদ তা থেকে দশ ধাপ পিছিয়ে দিয়েছিলেন।
12. এই সময় বলদনের ছেলে ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বরোদক্বলদন্ হিষ্কিয়ের অসুখের খবর শুনে তাঁর কাছে চিঠি ও উপহার পাঠিয়ে দিলেন।