২ বাদশাহ্‌নামা 19:26-37 Kitabul Mukkadas (MBCL)

26. সেখানকার লোকেরা শক্তিহীন হয়েছে এবং ভীষণ ভয় ও লজ্জা পেয়েছে। তারা ক্ষেতের ঘাসের মত, গজিয়ে ওঠা সবুজ চারার মত, ছাদের উপরে গজানো ঘাসের মত যা বেড়ে উঠবার আগেই শুকিয়ে যায়।

27. কিন্তু তুমি কোথায় থাক আর কখন আস বা যাও আর কেমন করে আমার বিরুদ্ধে রেগে ওঠ, তা সবই আমি জানি।

28. তুমি আমার বিরুদ্ধে রেগে উঠেছ বলে এবং তোমার গর্বের কথা আমার কানে এসেছে বলে আমি তোমার নাকে আমার কড়া লাগাব আর তোমার মুখে আমার লাগাম লাগাব; আর যে পথ দিয়ে তুমি এসেছ সেই পথেই ফিরে যেতে আমি তোমাকে বাধ্য করব।’

29. “হে হিষ্কিয়, তোমার জন্য চিহ্ন হবে এই: এই বছর নিজে নিজে যা জন্মাবে তোমরা তা-ই খাবে, আর দ্বিতীয় বছরে তা থেকে যা জন্মাবে তা খাবে। কিন্তু তৃতীয় বছরে তোমরা বীজ বুনবে ও ফসল কাটবে আর আংগুর ক্ষেত করে তার ফল খাবে।

30. এহুদা-গোষ্ঠীর যে লোকেরা তখনও বেঁচে থাকবে তারা আর একবার সফল হবে। তারা গাছের মত নীচে শিকড় বসাবে আর উপরে ফল ফলাবে।

31. বেঁচে থাকা লোকেরা জেরুজালেম থেকে আসবে, আর সিয়োন পাহাড় থেকে আসবে রক্ষা পাওয়া এক দল লোক। মাবুদের আগ্রহই এই সমস্ত করবে।

32. “সেইজন্য আশেরিয়ার বাদশাহ্‌র বিষয়ে মাবুদ এই কথা বলছেন, ‘সে এই শহরে ঢুকবে না কিংবা এখানে একটা তীরও মারবে না। সে ঢাল নিয়ে এর সামনে আসবে না কিংবা ঘেরাও করে ওঠা-নামা করবার জন্য কিছু তৈরী করবে না।

33. সে যে পথ দিয়ে এসেছে সেই পথেই ফিরে যাবে; এই শহরে সে ঢুকবে না। আমি মাবুদ এই কথা বলছি।

34. আমি আমার ও আমার গোলাম দাউদের জন্য এই শহরটা ঘিরে রেখে তা রক্ষা করব।’ ”

35. সেই রাতে মাবুদের ফেরেশতা বের হয়ে আশেরীয়দের ছাউনির এক লক্ষ পঁচাশি হাজার লোককে হত্যা করলেন। পরদিন সকালবেলায় লোকেরা যখন উঠল তখন দেখা গেল সব জায়গায় কেবল লাশ।

36. কাজেই আশেরিয়ার বাদশাহ্‌ সন্‌হেরীব তাঁর সৈন্যদল নিয়ে চলে গেলেন এবং নিনেভে শহরে ফিরে গিয়ে সেখানে থাকতে লাগলেন।

37. একদিন যখন সন্‌হেরীব তাঁর দেবতা নিষ্রোকের মন্দিরে পূজা করছিলেন তখন অদ্রম্মেলক ও শরেৎসর নামে তাঁর দুই ছেলে তাঁকে তলোয়ারের আঘাতে হত্যা করে আরারাত দেশে পালিয়ে গেল। সন্‌হেরীবের জায়গায় তাঁর ছেলে এসর-হদ্দোন বাদশাহ্‌ হলেন।

২ বাদশাহ্‌নামা 19