10. “তোমরা এহুদার বাদশাহ্ হিষ্কিয়কে বলবে, ‘তুমি যাঁর উপর ভরসা করে আছ সেই আল্লাহ্ বলেছেন যে, আশেরিয়ার বাদশাহ্র হাতে জেরুজালেমকে তুলে দেওয়া হবে না। তাঁর সেই ছলনার কথায় তুমি ভুল কোরো না।
11. আশেরিয়ার বাদশাহ্রা কিভাবে অন্য সব দেশ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছেন নিশ্চয়ই তুমি তা শুনেছ; তাহলে তুমি কেমন করে মনে করছ তুমি রক্ষা পাবে?
12. আমার পূর্বপুরুষেরা যে সব জাতিকে ধ্বংস করেছেন তাদের দেবতারা, অর্থাৎ গোষণ, হারণ, রেৎসফ এবং তলঃসরে বাসকারী আদনের লোকদের দেবতারা কি তাদের রক্ষা করেছেন?
13. হামার বাদশাহ্, অর্পদের বাদশাহ্, সফর্বয়িম শহরের বাদশাহ্ কিংবা হেনা ও ইব্বার বাদশাহ্ কোথায়?’ ”
14. হিষ্কিয় দূতদের হাত থেকে চিঠিখানা নিয়ে পড়লেন। তারপর তিনি মাবুদের ঘরে গিয়ে মাবুদের সামনে চিঠিটা মেলে ধরলেন।
15. হিষ্কিয় মাবুদের কাছে এই মুনাজাত করলেন, “দুই কারুবীর মাঝখানে থাকা হে ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্, তুমি, একমাত্র তুমিই দুনিয়ার সমস্ত রাজ্যের আল্লাহ্। তুমি আসমান ও জমীন সৃষ্টি করেছ।
16. হে মাবুদ, কান দাও, শোন; হে মাবুদ, তোমার চোখ খোল, দেখ; জীবন্ত আল্লাহ্কে কুফরী করবার জন্য সন্হেরীব যে কথা বলে পাঠিয়েছে তা শোন।
17. হে মাবুদ, এই কথা সত্যি যে, আশেরিয়ার বাদশাহ্রা এই সব জাতি ও তাদের দেশ ধ্বংস করেছে।
18. তাদের দেবতাদের তারা আগুনে ফেলে নষ্ট করে দিয়েছে। সেগুলো তো মাবুদ নয়, মানুষের হাতে তৈরী কেবল কাঠ আর পাথর মাত্র; সেইজন্য তারা তাদের ধ্বংস করতে পেরেছে।
19. এখন হে আমাদের মাবুদ আল্লাহ্, আশেরিয়ার বাদশাহ্র হাত থেকে তুমি আমাদের রক্ষা কর যাতে দুনিয়ার সমস্ত রাজ্য জানতে পারে যে, তুমিই, হে আল্লাহ্, কেবল তুমিই মাবুদ।”