7. পরে আহস আশেরিয়ার বাদশাহ্ তিগ্লৎ-পিলেষরের কাছে এই কথা বলতে লোক পাঠিয়ে দিলেন, “আমি আপনার গোলাম ও আপনার পুত্র। আপনি এসে সিরিয়ার বাদশাহ্ ও ইসরাইলের বাদশাহ্র হাত থেকে আমাকে রক্ষা করুন। তারা আমাকে আক্রমণ করেছে।”
8. আহস মাবুদের ঘর ও রাজবাড়ীর ভাণ্ডার থেকে সোনা ও রূপা নিয়ে উপহার হিসাবে আশেরিয়ার বাদশাহ্র কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
9. আশেরিয়ার বাদশাহ্ রাজী হয়ে দামেস্ক হামলা করে তা দখল করে নিলেন। তিনি সেখানকার লোকদের বন্দী করে কীরে নিয়ে গেলেন এবং রৎসীনকে হত্যা করলেন।
10. তখন বাদশাহ্ আহস দামেস্কে আশেরিয়ার বাদশাহ্ তিগ্লৎ-পিলেষরের সংগে দেখা করতে গেলেন। তিনি সেখানকার বেদীটি দেখে তাঁর নকশা ও সেটা তৈরী করবার পুরো পরিকল্পনা ইমাম উরিয়ার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
11. দামেস্ক থেকে বাদশাহ্ আহসের পাঠানো সমস্ত পরিকল্পনা মতই ইমাম উরিয়া একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করলেন এবং বাদশাহ্ আহস ফিরে আসবার আগেই তা শেষ করলেন।
12. দামেস্ক থেকে ফিরে এসে বাদশাহ্ সেই কোরবানগাহ্টি দেখলেন এবং সেই কোরবানগাহের কাছে গিয়ে তার উপর কোরবানী করলেন।
13. তিনি সেখানে তাঁর পোড়ানো-কোরবানী, শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানী করলেন এবং তাঁর যোগাযোগ-কোরবানীর রক্তও ছিটিয়ে দিলেন।
14. তিনি মাবুদের সামনে রাখা ব্রোঞ্জের কোরবানগাহ্টি মাবুদের ঘর ও নতুন কোরবানগাহের মাঝখান থেকে সরিয়ে এনে নতুন কোরবানগাহের উত্তর দিকে রাখলেন।
15. বাদশাহ্ আহস তারপর ইমাম উরিয়াকে এই সব হুকুম দিলেন, “ঐ বড় কোরবানগাহ্টির উপর সকালবেলার পোড়ানো-কোরবানী ও বিকালবেলার শস্য-কোরবানী করবেন। এছাড়া তার উপর বাদশাহ্র পোড়ানো-কোরবানী ও শস্য-কোরবানী এবং দেশের সব লোকদের পোড়ানো-কোরবানী ও তাদের শস্য-কোরবানী আর ঢালন-কোরবানী করবেন। সমস্ত পোড়ানো-কোরবানী ও অন্যান্য পশু-কোরবানীর রক্ত আপনি সেই কোরবানগাহের উপর ছিটিয়ে দেবেন। কিন্তু আল্লাহ্র নির্দেশ পাওয়ার জন্য আমি ঐ ব্রোঞ্জের কোরবানগাহ্টি ব্যবহার করব।”
16. ইমাম উরিয়া বাদশাহ্ আহসের হুকুম মতই সব কাজ করলেন।
17. বাদশাহ্ আহস গামলা বসাবার ব্রোঞ্জের আসনগুলোর পাশের সব পাত খুলে ফেললেন এবং সেখান থেকে গামলাগুলো সরিয়ে ফেললেন। ব্রোঞ্জের গরুগুলোর উপর যে বিরাট পাত্রটা বসানো ছিল সেটা তিনি সরিয়ে নিয়ে একটা পাথরের ভিত্তির উপরে বসালেন।