11. দামেস্ক থেকে বাদশাহ্ আহসের পাঠানো সমস্ত পরিকল্পনা মতই ইমাম উরিয়া একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করলেন এবং বাদশাহ্ আহস ফিরে আসবার আগেই তা শেষ করলেন।
12. দামেস্ক থেকে ফিরে এসে বাদশাহ্ সেই কোরবানগাহ্টি দেখলেন এবং সেই কোরবানগাহের কাছে গিয়ে তার উপর কোরবানী করলেন।
13. তিনি সেখানে তাঁর পোড়ানো-কোরবানী, শস্য-কোরবানী ও ঢালন-কোরবানী করলেন এবং তাঁর যোগাযোগ-কোরবানীর রক্তও ছিটিয়ে দিলেন।
14. তিনি মাবুদের সামনে রাখা ব্রোঞ্জের কোরবানগাহ্টি মাবুদের ঘর ও নতুন কোরবানগাহের মাঝখান থেকে সরিয়ে এনে নতুন কোরবানগাহের উত্তর দিকে রাখলেন।
15. বাদশাহ্ আহস তারপর ইমাম উরিয়াকে এই সব হুকুম দিলেন, “ঐ বড় কোরবানগাহ্টির উপর সকালবেলার পোড়ানো-কোরবানী ও বিকালবেলার শস্য-কোরবানী করবেন। এছাড়া তার উপর বাদশাহ্র পোড়ানো-কোরবানী ও শস্য-কোরবানী এবং দেশের সব লোকদের পোড়ানো-কোরবানী ও তাদের শস্য-কোরবানী আর ঢালন-কোরবানী করবেন। সমস্ত পোড়ানো-কোরবানী ও অন্যান্য পশু-কোরবানীর রক্ত আপনি সেই কোরবানগাহের উপর ছিটিয়ে দেবেন। কিন্তু আল্লাহ্র নির্দেশ পাওয়ার জন্য আমি ঐ ব্রোঞ্জের কোরবানগাহ্টি ব্যবহার করব।”
16. ইমাম উরিয়া বাদশাহ্ আহসের হুকুম মতই সব কাজ করলেন।
17. বাদশাহ্ আহস গামলা বসাবার ব্রোঞ্জের আসনগুলোর পাশের সব পাত খুলে ফেললেন এবং সেখান থেকে গামলাগুলো সরিয়ে ফেললেন। ব্রোঞ্জের গরুগুলোর উপর যে বিরাট পাত্রটা বসানো ছিল সেটা তিনি সরিয়ে নিয়ে একটা পাথরের ভিত্তির উপরে বসালেন।
18. মাবুদের ঘরে বিশ্রামবারের উদ্দেশে যে চাঁদোয়া তৈরী করা হয়েছিল আশেরিয়ার বাদশাহ্র ভয়ে আহস সেটা খুলে সরিয়ে রাখলেন এবং মাবুদের ঘরের বাইরের দিকে বাদশাহ্র ঢুকবার জন্য যে বিশেষ পথ তৈরী করা হয়েছিল তাও সরিয়ে রাখলেন।
19. আহসের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা “এহুদার বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
20. পরে আহস তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং দাউদ-শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে তাঁকে দাফন করা হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে হিষ্কিয় বাদশাহ্ হলেন।