২ বাদশাহ্‌নামা 14:1-12 Kitabul Mukkadas (MBCL)

1. ইসরাইলের বাদশাহ্‌ যিহোয়াহসের ছেলে যিহোয়াশের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরে এহুদার বাদশাহ্‌ যোয়াশের ছেলে অমৎসিয় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।

2. বাদশাহ্‌ হবার সময় তাঁর বয়স ছিল পঁচিশ বছর। তিনি জেরুজালেমে ঊনত্রিশ বছর রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল যিহোয়দ্দিন; তিনি ছিলেন জেরুজালেম শহরের মেয়ে।

3. মাবুদের চোখে যা ভাল অমৎসিয় তা-ই করতেন, তবে তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের মত নয়। তিনি তাঁর বাবা যোয়াশের মতই সমস্ত কাজ করতেন।

4. কিন্তু এবাদতের উঁচু স্থানগুলো তিনি ধ্বংস করেন নি; লোকেরা সেখানে পশু-কোরবানী করতে ও ধূপ জ্বালাতে থাকল।

5. রাজ্যটা তাঁর হাতের মুঠোয় আসলে পর যে কর্মচারীরা বাদশাহ্‌কে, অর্থাৎ তাঁর বাবাকে হত্যা করেছিল তাদের তিনি হত্যা করলেন।

6. কিন্তু মূসার তৌরাত কিতাবে যা লেখা আছে সেইমত তিনি তাদের ছেলেদের হত্যা করলেন না। সেই কিতাবে মাবুদের এই হুকুম লেখা ছিল, “ছেলেমেয়েদের গুনাহের জন্য বাবাকে কিংবা বাবার গুনাহের জন্য ছেলেমেয়েদের হত্যা করা চলবে না, কিন্তু প্রত্যেককেই তার নিজের গুনাহের জন্য মরতে হবে।”

7. অমৎসিয় লবণ-উপত্যকায় দশ হাজার ইদোমীয়কে হত্যা করলেন এবং যুদ্ধ করে সেলা শহর দখল করে তার নাম রাখলেন যক্তেল; সেই নাম আজও আছে।

8. তারপর তিনি যেহূর নাতি, অর্থাৎ যিহোয়াহসের ছেলে ইসরাইলের বাদশাহ্‌ যিহোয়াশকে বলে পাঠালেন, “আসুন, আমরা যুদ্ধের জন্য মুখোমুখি হই।”

9. কিন্তু ইসরাইলের বাদশাহ্‌ জবাবে এহুদার বাদশাহ্‌কে বলে পাঠালেন, “লেবাননের এক শিয়ালকাঁটা লেবাননেরই এরস গাছের কাছে বলে পাঠাল, ‘আমার ছেলের সংগে আপনার মেয়ের বিয়ে দিন।’ তারপর লেবাননের একটা বুনো জন্তু এসে সেই শিয়ালকাঁটাকে পায়ে মাড়িয়ে দিল।

10. ইদোমকে হারিয়ে দিয়ে সত্যিই আপনার অহংকার হয়েছে। জয়ের বড়াই করুন, তবে নিজের ঘরে থাকুন। কেন বিপদ ডেকে আনবেন আর তার সংগে ডেকে আনবেন নিজের ও এহুদার ধ্বংস?”

11. কিন্তু অমৎসিয় সেই কথায় কান দিলেন না। কাজেই ইসরাইলের বাদশাহ্‌ যিহোয়াশ তাঁকে হামলা করলেন। তিনি ও এহুদার বাদশাহ্‌ অমৎসিয় এহুদার বৈৎ-শেমশে একে অন্যের মুখোমুখি হলেন।

12. ইসরাইলের হাতে এহুদা সম্পূর্ণভাবে হেরে গেল এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের বাড়ীতে পালিয়ে গেল।

২ বাদশাহ্‌নামা 14