২ খান্দাননামা 9:2-13 Kitabul Mukkadas (MBCL)

2. সোলায়মান তাঁর সব প্রশ্নের জবাব দিলেন; সোলায়মানের কাছে কোন কিছুই এমন কঠিন ছিল না যা তিনি তাঁকে বুঝিয়ে বলতে পারেন নি।

3. সাবা দেশের রাণী সোলায়মানের জ্ঞান ও তাঁর তৈরী রাজবাড়ী দেখলেন।

4. তিনি আরও দেখলেন তাঁর টেবিলের খাবার, তাঁর কর্মচারীদের থাকবার জায়গা, সুন্দর পোশাক পরা তাঁর সেবাকারীদের, তাঁর পানীয় পরিবেশকদের এবং সেই সিঁড়ি, যে সিঁিড় দিয়ে তিনি মাবুদের ঘরে উঠে যেতেন। এই সব দেখে তিনি অবাক হয়ে গেলেন।

5. তিনি বাদশাহ্‌কে বললেন, “আমার নিজের দেশে থাকতে আপনার কাজ ও জ্ঞানের বিষয় যে খবর আমি শুনেছি তা সত্যি।

6. কিন্তু এখানে এসে নিজের চোখে না দেখা পর্যন্ত আমি সেই সব কথা বিশ্বাস করি নি। সত্যি আপনার জ্ঞানের অর্ধেকও আমাকে বলা হয় নি। যে খবর আমি পেয়েছি আপনার গুণ তার চেয়ে অনেক বেশী।

7. আপনার লোকেরা কত সুখী! যারা সব সময় আপনার সামনে থাকে ও আপনার জ্ঞানের কথা শোনে আপনার সেই কর্মচারীরা কত ভাগ্যবান!

8. আপনার মাবুদ আল্লাহ্‌র প্রশংসা হোক, যিনি আপনার উপর খুশী হয়ে আপনাকে তাঁর সিংহাসনে বসিয়েছেন যেন আপনি আপনার মাবুদ আল্লাহ্‌র হয়ে রাজত্ব করতে পারেন। বনি-ইসরাইলদের তিনি মহব্বত করেন এবং তাদের চিরস্থায়ী করতে চান বলে তিনি সুবিচার ও ন্যায় রক্ষার জন্য আপনাকে বাদশাহ্‌ করেছেন।”

9. তিনি বাদশাহ্‌কে সাড়ে চার টনেরও বেশী সোনা, অনেক খোশবু মসলা ও মণি-মুক্তা দিলেন। সাবা দেশের রাণী বাদশাহ্‌ সোলায়মানকে যে রকম মসলা দিয়েছিলেন সেই রকম মসলা আর কখনও দেশে দেখা যায় নি।

10. এছাড়া হীরম ও সোলায়মানের যে লোকেরা ওফীর থেকে সোনা নিয়ে আসত তারা চন্দন কাঠ আর মণি-মুক্তাও নিয়ে আসত।

11. বাদশাহ্‌ সেই সব চন্দন কাঠ দিয়ে মাবুদের ঘরের ও রাজবাড়ীর সিঁড়ি এবং কাওয়ালদের জন্য বীণা ও সুরবাহার তৈরী করালেন। এর আগে এত চন্দন কাঠ এহুদা দেশে কখনও দেখা যায় নি।

12. সাবা দেশের রাণী যা ইচ্ছা করলেন ও চাইলেন বাদশাহ্‌ সোলায়মান তা সবই তাঁকে দিলেন। রাণী তাঁর জন্য যা এনেছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশী তিনি তাঁকে দিলেন। এর পর রাণী তাঁর লোকজন নিয়ে নিজের দেশে ফিরে গেলেন।

13. প্রতি বছর সোলায়মানের কাছে যে সোনা আসত তার ওজন ছিল প্রায় ছাব্বিশ টন।

২ খান্দাননামা 9