14. এছাড়া বণিক ও ব্যবসায়ীরা সোনা নিয়ে আসত এবং আরবের সমস্ত বাদশাহ্রা ও দেশের শাসনকর্তারা সোলায়মানের কাছে সোনা ও রূপা নিয়ে আসত।
15. বাদশাহ্ সোলায়মান পিটানো সোনা দিয়ে দু’শো বড় ঢাল তৈরী করালেন। প্রত্যেকটা ঢালে সাত কেজি আটশো গ্রাম সোনা লেগেছিল।
16. পিটানো সোনা দিয়ে তিনি তিনশো ছোট ঢালও তৈরী করিয়েছিলেন। তার প্রত্যেকটাতে সোনা লেগেছিল তিন কেজি ন’শো গ্রাম করে। তিনি সেগুলো লেবানন্তবন্তকুটিরে রাখলেন।
17. এর পরে বাদশাহ্ হাতির দাঁতের একটা বড় সিংহাসন তৈরী করিয়ে খাঁটি সোনা দিয়ে তা মুড়িয়ে নিলেন।
18. সেই সিংহাসনের সিঁড়ির ছয়টা ধাপ ছিল এবং তার সংগে লাগানো ছিল পা রাখবার একটা সোনার আসন। বসবার জায়গার দু’দিকে হাতল ছিল এবং হাতলের পাশে ছিল দাঁড়ানো সিংহমূর্তি।
19. সেই ছয়টা ধাপের প্রত্যেকটার দু’পাশে একটা করে মোট বারোটা সিংহমূর্তি ছিল। অন্য কোন রাজ্যে এই রকম সিংহাসন কখনও তৈরী হয় নি।
20. সোলায়মানের পানীয়ের সমস্ত পাত্রগুলো ছিল সোনার আর লেবানন্তবন্তকুটিরের সমস্ত পাত্রগুলোও ছিল খাঁটি সোনার তৈরী। সোলায়মানের সময়ে রূপার তেমন কোন দাম ছিল না।
21. বাদশাহ্র কতগুলো বড় বড় জাহাজ হীরমের লোকদের সংগে নিয়ে তর্শীশে যেত। প্রতি তিন বছর পর পর সেই তর্শীশ-জাহাজগুলো সোনা, রূপা, হাতির দাঁত, বানর ও বেবুন নিয়ে ফিরে আসত।
22. বাদশাহ্ সোলায়মান দুনিয়ার অন্য সব বাদশাহ্দের চেয়ে ধনী ও জ্ঞানী হয়ে উঠেছিলেন।
23. আল্লাহ্ সোলায়মানের দিলে যে জ্ঞান দিয়েছিলেন সেই জ্ঞানপূর্ণ কথাবার্তা শুনবার জন্য দুনিয়ার সব দেশের বাদশাহ্রা তাঁর সংগে দেখা করতে চেষ্টা করতেন।
24. যাঁরা আসতেন তাঁরা প্রত্যেকে কিছু না কিছু উপহার আনতেন। সেগুলোর মধ্যে ছিল সোনা-রূপার পাত্র, কাপড়-চোপড়, অস্ত্রশস্ত্র, খোশবু মসলা, ঘোড়া আর খ"চর। বছরের পর বছর এই রকম চলত।
25. ঘোড়া ও রথের জন্য সোলায়মানের চার হাজার ঘর ছিল। তাঁর বারো হাজার ঘোড়সওয়ার ছিল; তাদের তিনি রথ রাখবার শহরগুলোতে এবং জেরুজালেমে নিজের কাছে রাখতেন।
26. তিনি ফোরাত নদী থেকে ফিলিস্তিনীদের দেশ ও মিসরের সীমানা পর্যন্ত সমস্ত বাদশাহ্দের উপরে রাজত্ব করতেন।
27. বাদশাহ্ জেরুজালেমে রূপাকে করলেন পাথরের মত প্রচুর এবং এরস কাঠকে করলেন নীচু পাহাড়ী এলাকায় গজানো ডুমুর গাছের মত অনেক।
28. সোলায়মানের ঘোড়াগুলো মিসর ও অন্যান্য সব দেশ থেকে আনা হত।
29. সোলায়মানের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নবী নাথনের লেখায়, শীলোনীয় অহিয়ের ভবিষ্যদ্বাণীতে এবং নবাটের ছেলে ইয়ারাবিমের বিষয়ে “ইদ্দো নবীর দর্শন” নামে বইটিতে লেখা আছে।
30. সোলায়মান জেরুজালেমে চল্লিশ বছর ধরে গোটা ইসরাইল জাতির উপরে রাজত্ব করেছিলেন।