30. তবে তোমার বাসস্থান বেহেশত থেকে তুমি তা শুনো এবং তাকে মাফ কোরো। তার সব কাজ অনুসারে বিচার কোরো, কারণ তুমি তো তার দিলের অবস্থা জান্ত কেবল তুমিই সমস্ত মানুষের দিলের খবর জান।
31. তুমি তা কোরো যাতে আমাদের পূর্বপুরুষদের তুমি যে দেশ দিয়েছ সেখানে বংশের পর বংশ ধরে তোমার বান্দারা সারা জীবন তোমাকে ভয় করে তোমার পথে চলে।
32. “এছাড়া তোমার বান্দা বনি-ইসরাইল নয় এমন কোন বিদেশী তোমার মহান নাম এবং তোমার শক্তিশালী ও বাড়িয়ে দেওয়া হাতের কথা শুনে যখন দূর দেশ থেকে এসে বায়তুল-মোকাদ্দসের দিকে ফিরে মুনাজাত করবে,
33. তখন তোমার বাসস্থান বেহেশত থেকে তুমি তা শুনো। সে যা চায় তার জন্য তা কোরো যেন দুনিয়ার সমস্ত লোক তোমাকে জানতে পারে এবং তোমার নিজের বান্দা বনি-ইসরাইলদের মত তারাও তোমাকে ভয় করতে পারে আর জানতে পারে যে, আমার তৈরী এই ঘর তোমারই ঘর।
34. “তুমি যখন তোমার বান্দাদের তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পাঠাবে তখন তারা যেখানেই থাকুক না কেন সেখান থেকে যদি তোমার বেছে নেওয়া এই শহরের দিকে ও তোমার জন্য আমার তৈরী এই ঘরের দিকে ফিরে তোমার কাছে মুনাজাত করে,
35. তবে বেহেশত থেকে তুমি তাদের মুনাজাত ও অনুরোধ শুনো এবং তাদের পক্ষ নিয়ো।
36. “তারা যখন তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করবে- অবশ্য গুনাহ্ করে না এমন লোক নেই- আর তুমি তাদের উপর রাগ করে শত্রুর হাতে তাদের তুলে দেবে ও শত্রুরা তাদের বন্দী করে কাছের বা দূর দেশে নিয়ে যাবে,
37. তখন বন্দী হয়ে থাকা সেই দেশে যদি তারা মন ফিরায় এবং অনুতপ্ত হয়ে তোমাকে অনুরোধ করে বলে, ‘আমরা গুনাহ্ করেছি, অন্যায় করেছি এবং খারাপভাবে চলেছি,’ তবে তুমি তাদের মুনাজাত শুনো।
38. ঐ দেশে যদি তারা মনেপ্রাণে তোমার দিকে ফেরে এবং যে দেশ তুমি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছ সেই দেশের দিকে, তোমার বেছে নেওয়া শহরের দিকে, তোমার জন্য আমার তৈরী এই ঘরের দিকে ফিরে মুনাজাত করে,
39. তবে তুমি তোমার বাসস্থান বেহেশত থেকে তাদের মুনাজাত ও অনুরোধ শুনো এবং তাদের পক্ষ নিয়ো। তোমার যে বান্দারা তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ করেছে সেই বান্দাদের তুমি মাফ কোরো।
40. “হে আমার আল্লাহ্, এই জায়গায় যে সব মুনাজাত করা হবে তার দিকে যেন এখন তোমার চোখ ও কান খোলা থাকে।
41. “হে আল্লাহ্ মাবুদ, এখন তোমার বিশ্রাম-স্থানে এস;তুমি এস, আর তোমার কুদরতের সিন্দুক আসুক।হে আল্লাহ্ মাবুদ,তোমার ইমামেরা উদ্ধারের পোশাক পরুক।তুমি যে সব মেহেরবানী করেছতার জন্য তোমার ভক্তেরা আনন্দ করুক।