10. “মাবুদ তাঁর ওয়াদা রক্ষা করেছেন। আমার পিতা দাউদ যে পদে ছিলেন আমি সেই পদ পেয়েছি। মাবুদের ওয়াদা অনুসারে আমি ইসরাইলের সিংহাসনে বসেছি এবং ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র জন্য এই ঘরটি তৈরী করেছি।
11. সেখানে আমি সাক্ষ্য-সিন্দুকটি রেখেছি যার মধ্যে রয়েছে বনি-ইসরাইলদের জন্য মাবুদের স্থাপন করা ব্যবস্থা।”
12. তারপর সোলায়মান সেখানে একত্র হওয়া বনি-ইসরাইলদের সামনে মাবুদের কোরবানগাহের কাছে দাঁড়িয়ে দু’হাত তুললেন।
13. তিনি পাঁচ হাত লম্বা, পাঁচ হাত চওড়া ও তিন হাত উঁচু একটা ব্রোঞ্জের মাচা তৈরী করিয়ে উঠানের মাঝখানে রেখেছিলেন। তিনি সেই মাচার উপর উঠে সমস্ত বনি-ইসরাইলদের সামনে হাঁটু পাতলেন এবং দু’হাত আসমানের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,
14. “হে আল্লাহ্, ইসরাইলের মাবুদ, বেহেশতে কিংবা দুনিয়াতে তোমার মত মাবুদ আর কেউ নেই। তোমার যে গোলামেরা মনেপ্রাণে তোমার পথে চলে তুমি তাদের পক্ষে তোমার অটল মহব্বতের ব্যবস্থা রক্ষা করে থাক।
15. তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে তুমি যে ওয়াদা করেছিলে তা তুমি রক্ষা করেছ। তুমি মুখে যা বলেছ কাজেও তা করেছ, আর আজকে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।
16. “এখন হে ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্, তোমার গোলাম আমার পিতা দাউদের কাছে তুমি যে ওয়াদা করেছিলে তা রক্ষা কর। তুমি বলেছিলে, যদি তাঁর ছেলেরা তাঁর মত করে তোমার শরীয়ত অনুসারে চলবার দিকে মনোযোগ দেয় তবে ইসরাইলের সিংহাসনে বসবার জন্য তাঁর বংশে লোকের অভাব হবে না।
17. হে আল্লাহ্, ইসরাইলের মাবুদ, যে ওয়াদা তুমি তোমার গোলাম দাউদের কাছে করেছিলে তা সফল হোক।
18. “কিন্তু সত্যিই কি আল্লাহ্ দুনিয়াতে মানুষের সংগে বাস করবেন? আসমান, এমন কি, আসমানের সমস্ত জায়গা জুড়েও যখন তোমার স্থান অকুলান হয় তখন আমার তৈরী এই ঘরে কি তোমার জায়গা হবে?
19. তবুও হে আমার মাবুদ আল্লাহ্, তোমার গোলামের মুনাজাত ও অনুরোধে তুমি কান দাও। তোমার কাছে তোমার গোলাম কাকুতি-মিনতি করে যে মুনাজাত করছে তা তুমি শোন।
20. যে জায়গার কথা তুমি বলেছ যে, এখানে তোমার বাসস্থান হবে সেই জায়গার দিকে, অর্থাৎ এই বায়তুল-মোকাদ্দসের দিকে তোমার চোখ দিনরাত খোলা থাকুক। এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার গোলাম যখন মুনাজাত করবে তখন তুমি তা শুনো।
21. এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার গোলাম ও তোমার বান্দা বনি-ইসরাইলরা যখন অনুরোধ করবে তখন তাতে তুমি কান দিয়ো। তোমার বাসস্থান বেহেশত থেকে তুমি তা শুনো এবং তাদের মাফ কোরো।