4. মিসরের বাদশাহ্ যিহোয়াহসের এক ভাই ইলীয়াকীমকে এহুদা ও জেরুজালেমের উপরে বাদশাহ্ করলেন এবং ইলীয়াকীমের নাম বদলে যিহোয়াকীম রাখলেন। নেখো যিহোয়াহসকে ধরে মিসরে নিয়ে গেলেন।
5. যিহোয়াকীম পঁচিশ বছর বয়সে বাদশাহ্ হয়েছিলেন এবং এগারো বছর জেরুজালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মাবুদ আল্লাহ্র চোখে যা খারাপ তিনি তা-ই করতেন।
6. ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসার তাঁকে আক্রমণ করে ব্যাবিলনে নিয়ে যাবার জন্য তাঁকে ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বাঁধলেন।
7. বখতে-নাসার মাবুদের ঘর থেকে জিনিসপত্রও ব্যাবিলনে নিয়ে গিয়ে তাঁর মন্দিরে রাখলেন।
8. যিহোয়াকীমের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং তিনি যে সব জঘন্য কাজ করেছিলেন ও তাঁর বিরুদ্ধে যা কিছু পাওয়া গিয়েছিল তা সবই “ইসরাইল ও এহুদার বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে। তাঁর পরে তাঁর ছেলে যিহোয়াখীন তাঁর জায়গায় বাদশাহ্ হলেন।
9. যিহোয়াখীন আঠারো বছর বয়সে বাদশাহ্ হয়েছিলেন এবং তিন মাস দশ দিন জেরুজালেমে রাজত্ব করেছিলেন। মাবুদের চোখে যা খারাপ তিনি তা-ই করতেন।
10. বছরের শেষে বাদশাহ্ বখতে-নাসার লোক পাঠিয়ে তাঁকে ও তাঁর সংগে মাবুদের ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন, আর যিহোয়াখীনের চাচা সিদিকিয়কে এহুদা ও জেরুজালেমের বাদশাহ্ করলেন।
11. সিদিকিয় একুশ বছর বয়সে বাদশাহ্ হয়েছিলেন এবং এগারো বছর জেরুজালেমে রাজত্ব করেছিলেন।
12. তাঁর মাবুদ আল্লাহ্র চোখে যা খারাপ তিনি তা-ই করতেন। তিনি নবী ইয়ারমিয়া, যিনি মাবুদের কালাম বলতেন, তাঁর সামনে নিজেকে নীচু করলেন না।
13. এছাড়া বাদশাহ্ বখতে-নাসার, যিনি আল্লাহ্র নামে তাঁকে কসম খাইয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহ করলেন। তিনি একগুঁয়েমি করে এবং নিজের অন্তর কঠিন করে ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র দিকে ফিরলেন না।
14. এছাড়া ইমামদের সব নেতারা ও লোকেরা অন্যান্য জাতির জঘন্য অভ্যাস মত চলে ভীষণ গুনাহ্ করল এবং মাবুদ জেরুজালেমে তাঁর যে ঘরকে পবিত্র করেছিলেন তা নাপাক করল।
15. বনি-ইসরাইলদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্ বার বার লোক পাঠিয়ে তাদের সাবধান করতেন, কারণ তাঁর বান্দাদের ও তাঁর বাসস্থানের প্রতি তাঁর মমতা ছিল।
16. কিন্তু আল্লাহ্র পাঠানো লোকদের তারা টিট্কারি দিত, তাঁর কথা তুচ্ছ করত এবং তাঁর নবীদের ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত। শেষে মাবুদের রাগ তাঁর লোকদের বিরুদ্ধে জেগে উঠল; তাদের রক্ষা পাওয়ার আর কোন পথ রইল না।
17. তাদের বিরুদ্ধে মাবুদ ব্যাবিলনের বাদশাহ্কে নিয়ে আসলেন। সেই বাদশাহ্ বায়তুল-মোকাদ্দসে তাদের যুবকদের হত্যা করলেন এবং যুবক-যুবতী, বুড়ো বা বয়স্ক কাউকেই দয়া দেখালেন না। আল্লাহ্ তাদের সবাইকে সেই বাদশাহ্র হাতে তুলে দিলেন।