13. এছাড়া বাদশাহ্ বখতে-নাসার, যিনি আল্লাহ্র নামে তাঁকে কসম খাইয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহ করলেন। তিনি একগুঁয়েমি করে এবং নিজের অন্তর কঠিন করে ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র দিকে ফিরলেন না।
14. এছাড়া ইমামদের সব নেতারা ও লোকেরা অন্যান্য জাতির জঘন্য অভ্যাস মত চলে ভীষণ গুনাহ্ করল এবং মাবুদ জেরুজালেমে তাঁর যে ঘরকে পবিত্র করেছিলেন তা নাপাক করল।
15. বনি-ইসরাইলদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্ বার বার লোক পাঠিয়ে তাদের সাবধান করতেন, কারণ তাঁর বান্দাদের ও তাঁর বাসস্থানের প্রতি তাঁর মমতা ছিল।
16. কিন্তু আল্লাহ্র পাঠানো লোকদের তারা টিট্কারি দিত, তাঁর কথা তুচ্ছ করত এবং তাঁর নবীদের ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত। শেষে মাবুদের রাগ তাঁর লোকদের বিরুদ্ধে জেগে উঠল; তাদের রক্ষা পাওয়ার আর কোন পথ রইল না।
17. তাদের বিরুদ্ধে মাবুদ ব্যাবিলনের বাদশাহ্কে নিয়ে আসলেন। সেই বাদশাহ্ বায়তুল-মোকাদ্দসে তাদের যুবকদের হত্যা করলেন এবং যুবক-যুবতী, বুড়ো বা বয়স্ক কাউকেই দয়া দেখালেন না। আল্লাহ্ তাদের সবাইকে সেই বাদশাহ্র হাতে তুলে দিলেন।
18. ব্যাবিলনের বাদশাহ্ আল্লাহ্র ঘরের ছোট-বড় সব জিনিস ও ধন-দৌলত এবং বাদশাহ্ ও তাঁর কর্মচারীদের ধন-দৌলত ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন।
19. তাঁর লোকেরা আল্লাহ্র ঘর পুড়িয়ে দিল এবং জেরুজালেমের দেয়াল ভেংগে ফেলল। তারা সেখানকার সব বড় বড় বাড়ী পুড়িয়ে দিল ও সমস্ত দামী জিনিস নষ্ট করে ফেলল।
20. যারা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল তাদের তিনি ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন, আর পারস্য-রাজ্য ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত তারা বখতে-নাসার ও তাঁর বংশধরদের গোলাম হয়ে রইল।
21. এই সময় ইসরাইল দেশ তার বিশ্রাম-বছরের বিশ্রাম ভোগ করল। নবী ইয়ারমিয়ার মধ্য দিয়ে বলা মাবুদের কালামের সত্তর বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের দেশের সমস্ত জমি এমনি পড়ে থেকে বিশ্রাম ভোগ করল।
22. নবী ইয়ারমিয়ার মধ্য দিয়ে বলা মাবুদের কালাম পূর্ণ হবার জন্য পারস্যের বাদশাহ্ কাইরাসের রাজত্বের প্রথম বছরে মাবুদ কাইরাসের দিলে এমন ইচ্ছা দিলেন যার জন্য তিনি তাঁর সমস্ত রাজ্যে মৌখিকভাবে ও লিখিতভাবে এই ঘোষণা দিলেন:
23. “পারস্যের বাদশাহ্ কাইরাস এই কথা বলছেন, ‘বেহেশতের মাবুদ আল্লাহ্ দুনিয়ার সমস্ত রাজ্য আমাকে দিয়েছেন এবং এহুদা দেশের জেরুজালেমে তাঁর জন্য একটা ঘর তৈরী করবার জন্য আমাকে নিযুক্ত করেছেন। তাঁর লোকদের মধ্যে, অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যে চায় সে সেখানে যাক এবং তার মাবুদ আল্লাহ্ তার সংগে থাকুন।’ ”