10. এইভাবে এবাদত-কাজের ব্যবস্থা করা হল এবং বাদশাহ্র হুকুম মত ইমামেরা নিজের নিজের জায়গায় আর লেবীয়রা তাদের বিভিন্ন দল অনুসারে দাঁড়ালেন।
11. লেবীয়রা উদ্ধার-ঈদের ছাগল ও ভেড়া জবাই করল এবং ইমামেরা তাদের হাত থেকে রক্ত নিয়ে তা ছিটিয়ে দিলেন, আর লেবীয়রা পশুগুলোর চামড়া ছাড়াল।
12. মূসার কিতাবে লেখা হুকুম অনুসারে মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী করবার জন্য তারা প্রত্যেক বংশের বিভিন্ন ভাগের লোকদের দেবার জন্য পোড়ানো-কোরবানীর জিনিস সরিয়ে রাখল। ষাঁড়ের বেলায়ও তারা তা-ই করল।
13. নিয়ম অনুসারে তারা উদ্ধার-ঈদের পশু আগুনে ঝল্সে নিল এবং কোরবানীর গোশ্ত ডেক্চি, কড়াই ও হাঁড়িতে সিদ্ধ করল আর তাড়াতাড়ি করে লোকদের খেতে দিল।
14. তারপর তারা নিজেদের ও ইমামদের জন্য ব্যবস্থা করল, কারণ ইমামেরা, অর্থাৎ হারুনের বংশধরেরা পোড়ানো-কোরবানীর জিনিস ও চর্বির অংশ রাত পর্যন্ত কোরবানী দিচ্ছিলেন। সেইজন্য লেবীয়রা নিজেদের ও হারুন্তবংশের ইমামদের জন্য ব্যবস্থা করল।
15. দাউদ, আসফ, হেমন ও বাদশাহ্র নবী যিদূথূনের নির্দেশ অনুসারে আসফের বংশের কাওয়াল ও বাদকেরা নিজের নিজের জায়গায় ছিলেন। প্রত্যেকটি দরজায় রক্ষী ছিল। তাদের কাজ ছেড়ে আসবার দরকার হয় নি, কারণ তাদের লেবীয় ভাইয়েরা তাদের জন্য ব্যবস্থা করেছিল।
16. এইভাবে বাদশাহ্ ইউসিয়ার হুকুম মত উদ্ধার-ঈদ পালনের জন্য এবং মাবুদের কোরবানগাহের উপরে পোড়ানো-কোরবানী দেবার জন্য সেই দিন মাবুদের সমস্ত এবাদত-কাজের ব্যবস্থা করা হল।
17. যে সব ইসরাইলীয় উপস্থিত ছিল তারা সেই সময় উদ্ধার-ঈদ এবং সাত দিন ধরে খামিহীন রুটির ঈদ পালন করল।
18. নবী শামুয়েলের পর থেকে আর কখনও ইসরাইল দেশে এইভাবে উদ্ধার-ঈদ পালন করা হয় নি। ইমাম, লেবীয় এবং জেরুজালেমের লোকদের সংগে উপস্থিত এহুদা ও ইসরাইলের সমস্ত লোকদের নিয়ে ইউসিয়া যেভাবে উদ্ধার-ঈদ পালন করেছিলেন ইসরাইলের বাদশাহ্দের মধ্যে আর কেউ তেমনভাবে পালন করেন নি।
19. ইউসিয়ার রাজত্বের আঠারো বছরের সময় এই উদ্ধার-ঈদ পালন করা হয়েছিল।