9. এহুদা ও জেরুজালেমের লোকদের মানশা বিপথে নিয়ে গেলেন; তার ফলে মাবুদ বনি-ইসরাইলদের সামনে থেকে যে সব জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন তাদের চেয়েও তারা আরও খারাপ কাজ করতে লাগল।
10. মাবুদ মানশা ও তাঁর লোকদের কাছে কথা বলতেন কিন্তু তারা তাতে কান দিত না।
11. কাজেই মাবুদ তাদের বিরুদ্ধে আশেরিয়ার বাদশাহ্র সেনাপতিদের নিয়ে আসলেন। তারা মানশাকে বন্দী করে তাঁর গায়ে আঁকড়া লাগিয়ে ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বেঁধে ব্যাবিলনে নিয়ে গেল।
12. বিপদে পড়ে তিনি তাঁর মাবুদ আল্লাহ্র রহমত ভিক্ষা করলেন এবং তাঁর পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্র সামনে নিজেকে খুবই নত করলেন।
13. এইভাবে মুনাজাত করলে পর মাবুদের মন নরম হল এবং তাঁর মিনতি শুনে তিনি তাঁকে জেরুজালেমে ও তাঁর রাজ্যে ফিরিয়ে আনলেন। তখন মানশা বুঝতে পারলেন যে, আল্লাহ্ই মাবুদ।
14. পরে তিনি দাউদ-শহরের বাইরের দেয়ালটা উপত্যকার মধ্যেকার জিহোন ঝর্ণা থেকে ওফল পাহাড় ঘিরে পশ্চিম দিকে মাছ-দরজায় ঢুকবার পথ পর্যন্ত আরও উঁচু করে তৈরী করিয়ে শক্তিশালী করলেন। এহুদার দেয়াল-ঘেরা সমস্ত গ্রাম ও শহরগুলোতে তিনি সেনাপতিদের নিযুক্ত করলেন।
15. তিনি মাবুদের ঘর থেকে দেব-দেবীদের মূর্তিগুলোকে দূর করে দিলেন। তিনি জেরুজালেমে এবং মাবুদের ঘরের পাহাড়ের উপরে যে সব বেদী তৈরী করেছিলেন সেগুলোও দূর করে দিলেন। সেগুলো নিয়ে তিনি শহরের বাইরে ফেলে দিলেন।
16. তারপর তিনি মাবুদের কোরবানগাহ্ আবার ঠিক করলেন এবং তার উপরে যোগাযোগ ও কৃতজ্ঞতা-কোরবানী দিলেন। তিনি এহুদার লোকদের হুকুম দিলেন যেন তারা বনি-ইসরাইলদের মাবুদ আল্লাহ্র এবাদত করে।
17. অবশ্য লোকেরা তখনও পূজার উঁচু স্থানগুলোতে পশু-কোরবানী দিত, তবে তারা তা করত কেবল তাদের মাবুদ আল্লাহ্রই উদ্দেশে।
18. মানশার অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা, তাঁর আল্লাহ্র কাছে তাঁর মুনাজাত এবং ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র নামে নবীরা তাঁকে যে কথা বলেছিলেন তা সবই “ইসরাইলের বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
19. তাঁর মুনাজাতের কথা, তাঁর মিনতিতে আল্লাহ্র মন নরম হওয়ার কথা, তাঁর সব গুনাহ্ ও বেঈমানীর কথা এবং তিনি নিজেকে আল্লাহ্র সামনে নত করবার আগে পূজার যে সব উঁচু স্থান তৈরী করেছিলেন আর আশেরা-খুঁটি ও খোদাই-করা মূর্তি স্থাপন করেছিলেন সেই সব কথা দর্শকদের বইয়ে লেখা রয়েছে।
20. পরে মানশা তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং রাজবাড়ীতেই তাঁকে দাফন করা হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে আমোন বাদশাহ্ হলেন।