9. পরে আশেরিয়ার বাদশাহ্ সন্হেরীব ও তাঁর সমস্ত সৈন্যদল লাখীশ ঘেরাও করলেন এবং তাঁর কয়েকজন লোককে তিনি জেরুজালেমে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি এহুদার বাদশাহ্ হিষ্কিয়ের কাছে এবং সেখানে উপস্থিত এহুদার সমস্ত লোকদের কাছে এই কথা বলে পাঠালেন,
10. “আশেরিয়ার বাদশাহ্ সন্হেরীব বলছেন, ‘তোমরা কিসের উপর ভরসা করে আছ যার দরুন তোমরা ঘেরাও হলেও জেরুজালেমেই থাকবে?
11. খিদে ও পিপাসায় যাতে তোমরা মর তাই হিষ্কিয় এই কথা বলে তোমাদের ভুলাচ্ছে যে, তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্ই আশেরিয়ার বাদশাহ্র হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করবে।
12. হিষ্কিয় নিজেই কি পূজার উঁচু স্থান আর বেদীগুলো ধ্বংস করে দেয় নি? এহুদা ও জেরুজালেমের লোকদের কি সে বলে নি যে, মাত্র একটি কোরবানগাহের সামনেই তাদের এবাদত করতে হবে এবং তার উপর ধূপ জ্বালাতে হবে?
13. “ ‘অন্যান্য দেশের সব জাতিদের প্রতি আমি ও আমার পূর্বপুরুষেরা যা করেছি তা কি তোমরা জান না? সেই সব জাতির দেবতারা কি আমার হাত থেকে তাদের দেশ উদ্ধার করতে পেরেছে?
14. এই যে জাতিগুলোকে আমার পূর্বপুরুষেরা ধ্বংস করে ফেলেছেন তাদের সব দেবতাগুলোর মধ্যে কে আমার হাত থেকে তার লোকদের উদ্ধার করতে পেরেছে? তাহলে কেমন করে তোমাদের আল্লাহ্ আমার হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করবে?
15. এখন তোমরা হিষ্কিয়কে এইভাবে তোমাদের ছলনা করতে ও ভুলিয়ে রাখতে দিয়ো না। তোমরা তাকে বিশ্বাস কোরো না, কারণ কোন জাতির বা কোন রাজ্যের দেবতা আমার কিংবা আমার পূর্বপুরুষদের হাত থেকে তার লোকদের উদ্ধার করতে পারে নি। তাহলে এটা কত না নিশ্চয় যে, তোমাদের দেবতারা আমার হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করতে পারবে না।’ ”
16. সন্হেরীবের লোকেরা মাবুদ আল্লাহ্ ও তাঁর গোলাম হিষ্কিয়ের বিরুদ্ধে আরও অনেক কথা বলল।
17. এছাড়া সন্হেরীব ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্কে কুফরী করবার জন্য চিঠিতে তাঁর বিরুদ্ধে এই কথা লিখলেন, “অন্যান্য দেশের জাতিদের দেবতারা যেমন আমার হাত থেকে তাদের লোকদের উদ্ধার করে নি, ঠিক সেইভাবে হিষ্কিয়ের আল্লাহ্ও আমার হাত থেকে তার লোকদের উদ্ধার করবে না।”
18. সন্হেরীবের লোকেরা হিব্রু ভাষায় চিৎকার করে ঐ কথা বলতে লাগল, যাতে জেরুজালেমের যে লোকেরা দেয়ালের উপরে ছিল তারা ভীষণ ভয় পায় আর আশেরিয়ার লোকেরা শহরটা দখল করে নিতে পারে।