13. “ ‘অন্যান্য দেশের সব জাতিদের প্রতি আমি ও আমার পূর্বপুরুষেরা যা করেছি তা কি তোমরা জান না? সেই সব জাতির দেবতারা কি আমার হাত থেকে তাদের দেশ উদ্ধার করতে পেরেছে?
14. এই যে জাতিগুলোকে আমার পূর্বপুরুষেরা ধ্বংস করে ফেলেছেন তাদের সব দেবতাগুলোর মধ্যে কে আমার হাত থেকে তার লোকদের উদ্ধার করতে পেরেছে? তাহলে কেমন করে তোমাদের আল্লাহ্ আমার হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করবে?
15. এখন তোমরা হিষ্কিয়কে এইভাবে তোমাদের ছলনা করতে ও ভুলিয়ে রাখতে দিয়ো না। তোমরা তাকে বিশ্বাস কোরো না, কারণ কোন জাতির বা কোন রাজ্যের দেবতা আমার কিংবা আমার পূর্বপুরুষদের হাত থেকে তার লোকদের উদ্ধার করতে পারে নি। তাহলে এটা কত না নিশ্চয় যে, তোমাদের দেবতারা আমার হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করতে পারবে না।’ ”
16. সন্হেরীবের লোকেরা মাবুদ আল্লাহ্ ও তাঁর গোলাম হিষ্কিয়ের বিরুদ্ধে আরও অনেক কথা বলল।
17. এছাড়া সন্হেরীব ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্কে কুফরী করবার জন্য চিঠিতে তাঁর বিরুদ্ধে এই কথা লিখলেন, “অন্যান্য দেশের জাতিদের দেবতারা যেমন আমার হাত থেকে তাদের লোকদের উদ্ধার করে নি, ঠিক সেইভাবে হিষ্কিয়ের আল্লাহ্ও আমার হাত থেকে তার লোকদের উদ্ধার করবে না।”
18. সন্হেরীবের লোকেরা হিব্রু ভাষায় চিৎকার করে ঐ কথা বলতে লাগল, যাতে জেরুজালেমের যে লোকেরা দেয়ালের উপরে ছিল তারা ভীষণ ভয় পায় আর আশেরিয়ার লোকেরা শহরটা দখল করে নিতে পারে।
19. তারা মানুষের হাতে তৈরী দুনিয়ার সব জাতির দেবতাদের সম্বন্ধে যা বলেছিল জেরুজালেমের আল্লাহ্র বিষয়েও তা-ই বলল।
20. সেইজন্য বাদশাহ্ হিষ্কিয় ও আমোজের ছেলে নবী ইশাইয়া মুনাজাতের মধ্য দিয়ে বেহেশতের আল্লাহ্র কাছে ফরিয়াদ জানাতে লাগলেন।
21. এতে মাবুদ একজন ফেরেশতাকে পাঠিয়ে দিলেন যিনি আশেরিয়ার বাদশাহ্র ছাউনির মধ্য থেকে সমস্ত যোদ্ধা, নেতা ও সেনাপতিদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেললেন। এতে সন্হেরীব লজ্জা পেয়ে নিজের দেশে ফিরে গেলেন। তিনি তাঁর দেবতার মন্দিরে গেলে পর তাঁর কয়েকজন ছেলে তাঁকে হত্যা করল।
22. এইভাবে মাবুদ আশেরিয়ার বাদশাহ্ সন্হেরীবের এবং অন্যান্য সকলের হাত থেকে হিষ্কিয়কে ও জেরুজালেমের লোকদের রক্ষা করলেন। তিনি সব দিক দিয়েই তাদের নিরাপদে রাখলেন।
23. অনেকেই জেরুজালেমে মাবুদের উদ্দেশে উপহার নিয়ে আসল এবং এহুদার বাদশাহ্ হিষ্কিয়ের জন্য দামী উপহার আনল। তাতে সেই সময় থেকে সমস্ত জাতির লোক তাঁকে খুব সম্মান করতে লাগল।
24. সেই সময় হিষ্কিয় অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হলেন। হিষ্কিয় মাবুদের কাছে মুনাজাত করলে পর তিনি জবাব দিলেন এবং তাঁকে একটা অলৌকিক-চিহ্ন দিলেন।
25. কিন্তু হিষ্কিয়ের অন্তরে অহংকার দেখা দিল। তাঁর প্রতি যে রকম দোয়া করা হয়েছিল সেই অনুসারে তিনি কাজ করলেন না; এতে তাঁর উপর এবং এহুদা ও জেরুজালেমের উপর মাবুদের রাগ হল।
26. তখন হিষ্কিয় তাঁর দিলের অহংকারের কথা বুঝতে পেরে নিজেকে নত করলেন এবং জেরুজালেমের লোকেরাও তা-ই করল। সেইজন্য হিষ্কিয়ের সময়ে মাবুদের গজব তাদের উপর নেমে আসল না।
27. হিষ্কিয়ের অনেক ধন-সম্পদ ও সম্মান ছিল। তাঁর সোনা-রূপা, মণি-মুক্তা, খোশবু মসলা, ঢাল ও সমস্ত রকম দামী জিনিসপত্র রাখবার জন্য তিনি ধনভাণ্ডার তৈরী করালেন।
28. এছাড়া তিনি শস্য, নতুন আংগুর-রস ও তেল রাখবার জন্য ভাণ্ডার-ঘর তৈরী করালেন এবং বিভিন্ন রকম পশুর ও ছাগল-ভেড়ার থাকবার ঘরও তৈরী করালেন।
29. তিনি নিজের জন্য অনেক গ্রাম ও শহর গড়ে তুললেন। তাঁর গরু-ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা অনেক হল, কারণ আল্লাহ্ তাঁকে অনেক ধন দিয়েছিলেন।
30. হিষ্কিয় জিহোন ঝর্ণার উপরের মুখ বন্ধ করে দাউদ-শহরের পশ্চিম দিক দিয়ে পানি নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তাঁর সব কাজেই সফল হয়েছিলেন।