2. পোড়ানো-কোরবানী ও যোগাযোগ-কোরবানী দেবার জন্য, এবাদত-কাজের জন্য এবং আল্লাহ্র ঘরে শুকরিয়া-কাওয়ালী ও প্রশংসা-কাওয়ালী গাইবার জন্য হিষ্কিয় ইমাম ও লেবীয়দের প্রত্যেকের কাজ অনুসারে তাদের বিভিন্ন দলকে নিযুক্ত করলেন।
3. মাবুদের শরীয়তে যেমন লেখা আছে সেইমত সকাল ও সন্ধ্যার পোড়ানো-কোরবানীর জন্য এবং বিশ্রামবার, অমাবস্যা এবং নির্দিষ্ট ঈদের সময়কার পোড়ানো-কোরবানীর জন্য বাদশাহ্ তাঁর নিজের সম্পত্তি থেকে দান করলেন।
4. ইমাম ও লেবীয়রা যাতে মাবুদের শরীয়ত পালন করবার ব্যাপারে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে ব্যস্ত রাখতে পারেন সেইজন্য তাঁদের পাওনা অংশ দিতে তিনি জেরুজালেমে বাসকারী লোকদের হুকুম দিলেন।
5. এই হুকুম বের হবার সংগে সংগে বনি-ইসরাইলরা তাদের ফসল, নতুন আংগুর-রস, তেল ও মধুর প্রথম অংশ এবং ক্ষেতে আর যা কিছু জন্মায় তারও প্রথম অংশ প্রচুর পরিমাণে দান করল। এছাড়া তারা সব কিছুর দশ ভাগের একভাগ আনল এবং তা পরিমাণে অনেক হল।
6. ইসরাইল ও এহুদার যে সব লোক এহুদার গ্রাম ও শহরগুলোতে বাস করত তারাও তাদের গরু, ভেড়া ও ছাগলের পালের দশ ভাগের এক ভাগ আনল এবং তাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে পবিত্র করে রাখা জিনিসের দশ ভাগের একভাগ এনে কতগুলো স্তূপ করল।
7. তৃতীয় মাসে এই কাজ শুরু করে তারা সপ্তম মাসে শেষ করল।
8. হিষ্কিয় ও তাঁর কর্মচারীরা এসে সেই সতূপগুলো দেখে মাবুদের প্রশংসা করলেন এবং তাঁর বান্দা বনি-ইসরাইলদের প্রশংসা করলেন।
9. হিষ্কিয় সেই স্তূপগুলোর কথা ইমাম ও লেবীয়দের জিজ্ঞাসা করলেন।
10. এতে সাদোকের বংশের অসরিয় নামে প্রধান ইমাম জবাবে বললেন, “মাবুদের ঘরে লোকেরা যখন তাদের দান আনতে শুরু করল তখন থেকে আমাদের খাবারও যেমন যথেষ্ট হয়েছে তেমনি বাড়তিও রয়েছে প্রচুর, কারণ মাবুদ তাঁর বান্দাদের দোয়া করেছেন, আর এই সমস্ত জিনিস অনেক বেঁচে গেছে।”
11. তখন হিষ্কিয় মাবুদের ঘরে কতগুলো ভাণ্ডার-ঘর তৈরী করবার হুকুম দিলেন আর সেগুলো তৈরী করা হল।