16. তারপর আল্লাহ্র বান্দা মূসার শরীয়ত অনুসারে তাঁরা তাঁদের নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে দাঁড়ালেন। ইমামেরা লেবীয়দের হাত থেকে রক্ত নিয়ে ছিটিয়ে দিলেন।
17. লোকদের মধ্যে অনেকে নিজেদের পাক-সাফ করে নি। সেইজন্য এদের হয়ে মাবুদের উদ্দেশে কোরবানী দেবার জন্য উদ্ধার-ঈদের ভেড়ার বাচ্চা লেবীয়দেরই জবাই করতে হয়েছিল।
18-19. আফরাহীম, মানশা, ইষাখর ও সবূলূন-গোষ্ঠীর অনেকে নিজেদের পাক-সাফ না করেই নিয়মের বিরুদ্ধে উদ্ধার-ঈদের মেজবানী খেয়েছিল। কিন্তু হিষ্কিয় তাদের জন্য মুনাজাত করে বললেন, “যদিও বায়তুল-মোকাদ্দসের নিয়ম অনুসারে তারা পাক-সাফ হয় নি তবুও যারা তাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র ইচ্ছামত চলবার জন্য মন স্থির করেছে, মেহেরবান আল্লাহ্ যেন তাদের সবাইকে মাফ করেন।”
20. মাবুদ হিষ্কিয়ের মুনাজাত শুনে লোকদের মাফ করলেন।
21. যে সব ইসরাইলীয় জেরুজালেমে উপস্থিত হয়েছিল তারা খুব আনন্দের সংগে সাত দিন ধরে খামিহীন রুটির ঈদ পালন করল; আর এদিকে লেবীয় ও ইমামেরা প্রতিদিন মাবুদের উদ্দেশে বাজনা বাজিয়ে প্রশংসা-কাওয়ালী গাইতে লাগলেন।
22. মাবুদের এবাদত-কাজে যে সব লেবীয়রা দক্ষ ছিল হিষ্কিয় তাদের উৎসাহ দিয়ে কথা বললেন। তারা যোগাযোগ-কোরবানী দিয়ে সাত দিন ধরে খাওয়া-দাওয়া করল এবং তাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র প্রশংসা করল।
23. তারপর সমস্ত লোক আরও সাত দিন সেই ঈদ পালন করবে বলে ঠিক করল; কাজেই আরও সাত দিন তারা আনন্দের সংগে সেই ঈদ পালন করল।
24. এহুদার বাদশাহ্ হিষ্কিয় সমস্ত লোকের জন্য এক হাজার ষাঁড় ও সাত হাজার ভেড়া দিলেন আর উঁচু পদের কর্মচারীরা দিলেন এক হাজার ষাঁড় ও দশ হাজার ভেড়া। ইমামদের মধ্যে অনেকে নিজেদের পাক-সাফ করলেন।
25. এহুদার সব লোকেরা, ইমামেরা, লেবীয়রা, ইসরাইল থেকে আসা লোকেরা এবং ইসরাইল ও এহুদায় বাসকারী যে বিদেশীরা এসেছিল তারা সবাই আনন্দ করল।
26. জেরুজালেমে খুব আনন্দ হল; ইসরাইলের বাদশাহ্ দাউদের ছেলে সোলায়মানের পরে জেরুজালেমে আর এমনভাবে ঈদ পালন করা হয় নি।
27. পরে যে লেবীয়রা ইমাম ছিলেন তাঁরা দাঁড়িয়ে লোকদের দোয়া করলেন, আর আল্লাহ্ তাঁদের মুনাজাত শুনলেন, কারণ তাঁদের মুনাজাত বেহেশতে তাঁর পবিত্র বাসস্থানে পৌঁছেছিল।