2. সোলায়মানের রাজত্বের চতুর্থ বছরের দ্বিতীয় মাসের দ্বিতীয় দিনে সোলায়মান কাজ শুরু করলেন।
3. আল্লাহ্র ঘর তৈরীর জন্য তিনি পুরানো মাপ অনুসারে ষাট হাত লম্বা ও বিশ হাত চওড়া ভিত্তি দিলেন।
4. ঘরের সামনের বারান্দা ঘরের চওড়ার মাপ অনুসারে বিশ হাত চওড়া ও তার ছাদ একশো বিশ হাত উঁচু করে দেওয়া হল এবং তার ভিতরটা খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হল।
5. প্রধান বড় কামরাটা সোলায়মান প্রথমে বেরস কাঠের তক্তা দিয়ে ঢেকে দিলেন এবং তারপর তা খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন, আর সেটা খেজুর ও শিকলের নক্শা দিয়ে সাজানো হল।
6. এছাড়া দামী দামী পাথর দিয়ে তিনি ঘরটা সাজালেন। যে সোনা তিনি ব্যবহার করলেন তা ছিল পর্বয়িম দেশের।
7. দেয়ালগুলোতে তিনি কারুবীদের আকার খোদাই করালেন এবং ছাদের কড়িকাঠ, দরজার ফ্রেম, দেয়াল ও দরজা সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
8. তারপর তিনি মহাপবিত্র স্থানটি তৈরী করলেন। সেটি ঘরের চওড়া অনুসারে বিশ হাত চওড়া ও বিশ হাত লম্বা করা হল। তেইশ টন চারশো কেজি খাঁটি সোনা দিয়ে তিনি ভিতরটা মুড়িয়ে দিলেন।
9. সোনার পেরেকগুলোর ওজন ছিল ছ’শো পঞ্চাশ গ্রাম। তিনি উপরের কামরাগুলোও সোনা দিয়ে মুড়িয়ে দিলেন।
11-13. প্রত্যেকটি কারুবীর দু’টি ডানাই ছিল পাঁচ হাত করে লম্বা। একটি কারুবীর ডানা এক দেয়াল ও অন্য কারুবীটির ডানা অন্য দেয়াল ছুঁয়ে রইল, আর ঘরের মাঝখানে তাদের অন্য ডানা দু’টি একটি অন্যটির আগা ছুঁয়ে রইল। এই কারুবী দু’টির ডানার মাপ মেলে দেওয়া অবস্থায় ছিল বিশ হাত। তারা পায়ের উপর দাঁড়ানো ছিল এবং তাদের মুখ ছিল প্রধান বড় কামরার দিকে।
14. সোলায়মান নীল, বেগুনী ও লাল সুতা এবং মসীনা সুতা দিয়ে পর্দা তৈরী করালেন আর তার মধ্যে কারুবীর আকার সেলাই করালেন।
15. বায়তুল-মোকাদ্দসের সামনে তিনি দু’টা থাম তৈরী করালেন। সেগুলো ছিল পঁয়ত্রিশ হাত উঁচু। প্রত্যেকটার মাথার মাপ ছিল পাঁচ হাত।
16. তিনি পাকানো শিকল তৈরী করে থাম দু’টার মাথার উপরে দিলেন, আর একশোটা ডালিম তৈরী করে সেই শিকলে জুড়ে দিলেন।
17. সেই থাম দু’টা বায়তুল-মোকাদ্দসের সামনে দক্ষিণে একটা ও উত্তরে অন্যটা দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল। যেটা দক্ষিণে ছিল তার নাম তিনি দিলেন যাখীন (যার মানে “তিনি স্থাপন করেন”) এবং যেটা উত্তরে ছিল তার নাম দিলেন বোয়স (যার মানে “তাঁর মধ্যেই শক্তি”)।