20. পরের দিন ভোরবেলায় বাদশাহ্ হিষ্কিয় শহরের উঁচু পদের কর্মচারীদের একত্র করে মাবুদের ঘরে গেলেন।
21. তাঁরা রাজ্যের জন্য, বায়তুল-মোকাদ্দসের জন্য ও এহুদার লোকদের জন্য গুনাহের জন্য কোরবানী হিসাবে সাতটা ষাঁড়, সাতটা ভেড়া, সাতটা ভেড়ার বাচ্চা ও সাতটা ছাগল নিয়ে আসলেন। তারপর বাদশাহ্ ইমামদের, অর্থাৎ হারুনের বংশধরদের সেগুলো মাবুদের কোরবানগাহের উপর কোরবানী দেবার জন্য হুকুম দিলেন।
22. ইমামেরা প্রথমে সেই ষাঁড়গুলো জবাই করে প্রত্যেকটার রক্ত নিয়ে কোরবানগাহের গায়ে ছিটিয়ে দিলেন; তারপর ভেড়াগুলো ও শেষে ভেড়ার বাচ্চাগুলো কেটে সেগুলোর প্রত্যেকটার রক্তও ছিটিয়ে দিলেন।
23. তারপর ইমামেরা গুনাহের কোরবানীর জন্য ছাগলগুলো বাদশাহ্ ও সব লোকদের সামনে আনলেন যাতে তাঁরা সেগুলোর মাথার উপর হাত রাখতে পারেন।
24. এর পরে ইমাম সেই ছাগলগুলো জবাই করলেন এবং সমস্ত বনি-ইসরাইলদের গুনাহ্ ঢাকা দেবার উদ্দেশে কোরবানগাহের উপরে সেই রক্ত দিয়ে গুনাহের কোরবানী দিলেন। সমস্ত বনি-ইসরাইলদের জন্য পোড়ানো-কোরবানী ও গুনাহের কোরবানী দেবার হুকুম বাদশাহ্ই দিয়েছিলেন।
25. বাদশাহ্ দাউদ, তাঁর নবী গাদ এবং নবী নাথনের হুকুম অনুসারে বাদশাহ্ হিষ্কিয় লেবীয়দের বললেন যেন তারা করতাল, বীণা ও সুরবাহার নিয়ে মাবুদের ঘরে যায়। মাবুদ তাঁর নবীদের মধ্য দিয়ে এই হুকুমই দিয়েছিলেন।
26. সেইজন্য লেবীয়রা দাউদের বাজনাগুলো নিয়ে আর ইমামেরা তাঁদের শিংগা নিয়ে সেখানে গিয়ে দাঁড়ালেন।
27. তারপর হিষ্কিয় কোরবানগাহের উপরে পোড়ানো-কোরবানীর হুকুম দিলেন। এই কোরবানী শুরু হলে মাবুদের উদ্দেশে কাওয়ালীও শুরু হল আর তার সংগে ইসরাইলের বাদশাহ্ দাউদের বাজনা ও শিংগা বাজানো হল।
28. কাওয়ালেরা কাওয়ালী গাইতে ও শিংগা বাদকেরা শিংগা বাজাতে থাকলে সমস্ত লোক মাটিতে সেজদা করে মাবুদের এবাদত করল। পোড়ানো-কোরবানী শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সব চলতে থাকল।
29. কোরবানী শেষ হলে পর বাদশাহ্ ও তাঁর সংগের সকলে সেজদা করে মাবুদের এবাদত করলেন।
30. বাদশাহ্ হিষ্কিয় ও তাঁর কর্মচারীরা দাউদের এবং নবী আসফের রচনা-করা কাওয়ালী দিয়ে মাবুদের উদ্দেশে প্রশংসা-কাওয়ালী গাইবার জন্য লেবীয়দের হুকুম দিলেন। তখন তারা খুশী হয়ে প্রশংসা-কাওয়ালী গাইল এবং মাটিতে সেজদা করে মাবুদের এবাদত করল।
31. এর পর হিষ্কিয় বললেন, “আপনারা এখন মাবুদের কাছে নিজেদের দিয়ে দিয়েছেন। এবার আপনারা এসে মাবুদের ঘরে পশু-কোরবানী ও কৃতজ্ঞতা-কোরবানীর জিনিস আনুন।” তখন সবাই তা আনল এবং যাদের অন্তর চাইল তারা পোড়ানো-কোরবানীর জিনিসও আনল।
32. তারা পোড়ানো-কোরবানীর জন্য সত্তরটা ষাঁড়, একশোটা ভেড়া ও দু’শোটা ভেড়ার বাচ্চা নিয়ে আসল। এই সব ছিল মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানীর জন্য।
33. কোরবানীর জন্য যে সব পশু পবিত্র করে রাখা হয়েছিল সেগুলোর সংখ্যা হল ছ’শো ষাঁড় ও তিন হাজার ছাগল-ভেড়া।
34. ইমামদের সংখ্যা কম হওয়াতে তাঁরা সমস্ত পোড়ানো-কোরবানীর পশুর চামড়া ছাড়াতে পারলেন না; কাজেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং অন্য ইমামেরা পাক-সাফ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের লেবীয় ভাইয়েরা তাঁদের কাজে সাহায্য করল, কারণ নিজেদের পাক-সাফ করবার ব্যাপারে ইমামদের চেয়ে লেবীয়রা আরও বেশী মনোযোগী ছিল।
35. যোগাযোগ-কোরবানীর চর্বি পোড়ানো ও পোড়ানো-কোরবানী এবং তার সংগেকার ঢালন-কোরবানী নিয়ে অনেকগুলো কোরবানী দেওয়া হল।এইভাবে মাবুদের ঘরের এবাদত-কাজ আবার শুরু করা হল।
36. আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের জন্য এই সব কাজ খুব তাড়াতাড়ি করেছিলেন বলে হিষ্কিয় ও সমস্ত লোকেরা আনন্দ করল।