11. উষিয়ের একটা দক্ষ সৈন্যদল ছিল। তারা হনানীয় নামে একজন সেনাপতির পরিচালনার অধীনে ছিল এবং লেখক যিয়ূয়েল ও কর্মকর্তা মাসেয়ের ঠিক করা সংখ্যা অনুসারে তারা দলে দলে যুদ্ধে যাবার জন্য প্রস্তুত থাকত।
12-13. তাদের মোট সংখ্যা ছিল তিন লক্ষ সাত হাজার পাঁচশো। এই সব দক্ষ যোদ্ধারা দু’হাজার ছ’শো বংশ-নেতার অধীনে ছিল। শত্রুদের বিরুদ্ধে বাদশাহ্কে সাহায্য করবার জন্য এরা ছিল একটা শক্তিশালী সৈন্যদল।
14. উষিয় সমস্ত সৈন্যদলের জন্য ঢাল, বর্শা, মাথা রক্ষার টুপি, বর্ম, ধনুক ও ফিংগার পাথর যোগান দিতেন।
15. তিনি জেরুজালেমে দক্ষ লোকদের তৈরী যন্ত্রপাতি উঁচু পাহারা-ঘরগুলোতে এবং দেয়ালের কোণায় কোণায় রাখলেন যাতে সেখান থেকে তীর ও বড় বড় পাথর ছুঁড়ে মারা যায়। তাঁর সুনাম দূর দেশে ছড়িয়ে গেল। তিনি আল্লাহ্র অনেক সাহায্য পেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠলেন।
16. উষিয় শক্তিশালী হয়ে উঠলে পর তাঁর মনে অহংকার আসল এবং তাতে তাঁর পতন হল। তিনি ধূপগাহে ধূপ জ্বালাবার জন্য মাবুদের ঘরে ঢুকে তাঁর মাবুদ আল্লাহ্র বিরুদ্ধে গুনাহ্ করলেন।
17. তাতে মহা-ইমাম অসরিয় এবং মাবুদের আশিজন সাহসী ইমাম বাদশাহ্র পিছনে পিছনে ভিতরে গেলেন।
18. তাঁরা তাঁকে বাধা দেবার জন্য বললেন, “উষিয়, মাবুদের উদ্দেশে ধূপ জ্বালাবার অধিকার আপনার নেই। হারুনের বংশধরদের, যাদের ধূপ জ্বালাবার জন্য পবিত্র করা হয়েছে, সেই ইমামদেরই অধিকার আছে। এই পবিত্র জায়গা থেকে আপনি বের হয়ে যান, কারণ আপনি গুনাহ্ করেছেন। এর ফলে মাবুদ আল্লাহ্ নিশ্চয়ই আপনাকে শাস্তি দেবেন।”
19. তখন উষিয় রেগে আগুন হয়ে গেলেন; তাঁর হাতে ধূপ জ্বালাবার জন্য একটা ধূপদানি ছিল। মাবুদের ঘরে ধূপগাহের সামনে ইমামদের উপর যখন তিনি রাগ করছিলেন তখন তাঁর কপালে একটা খারাপ চর্মরোগ দেখা দিল।
20. প্রধান ইমাম অসরিয় ও অন্যান্য সব ইমামেরা তাঁর দিকে তাকিয়ে তাঁর কপালে সেই চর্মরোগ দেখতে পেলেন। কাজেই তাঁরা তাড়াতাড়ি তাঁকে বের করে দিলেন। তিনি নিজেও তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে চাইলেন, কারণ মাবুদ তাঁকে আঘাত করেছিলেন।