19. ‘ইদোমকে হারিয়ে দিয়েছি,’ মনে মনে এই কথা ভেবে আপনি অহংকারে ফুলে উঠেছেন। এখন আপনি নিজের ঘরে থাকুন। কেন বিপদ ডেকে আনবেন এবং তার সংগে ডেকে আনবেন নিজের ও এহুদার ধ্বংস?”
20. কিন্তু অমৎসিয় সেই কথায় কান দিলেন না। এটা আল্লাহ্ থেকে হল, কারণ লোকেরা ইদোমের দেব-দেবীদের সাহায্য চেয়েছিল বলে আল্লাহ্ যিহোয়াশের হাতে তাদের তুলে দিতে চেয়েছিলেন।
21. সেইজন্য ইসরাইলের বাদশাহ্ যিহোয়াশ তাদের আক্রমণ করলেন। তিনি এবং এহুদার বাদশাহ্ অমৎসিয় এহুদার বৈৎ-শেমশে একে অন্যের মুখোমুখি হলেন।
22. ইসরাইলের কাছে এহুদা সম্পূর্ণভাবে হেরে গেল এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের বাড়ীতে পালিয়ে গেল।
23. ইসরাইলের বাদশাহ্ যিহোয়াশ বৈৎ-শেমসে অহসিয়ের নাতি, অর্থাৎ যোয়াশের ছেলে এহুদার বাদশাহ্ অমৎসিয়কে বন্দী করলেন। তারপর যিহোয়াশ জেরুজালেমে গিয়ে সেখানকার দেয়ালটার আফরাহীম-দরজা থেকে কোণার দরজা পর্যন্ত প্রায় চারশো হাত লম্বা একটা অংশ ভেংগে দিলেন।
24. আল্লাহ্র ঘরের যত সোনা-রূপা ও জিনিসপত্রের ভার ওবেদ-ইদোমের উপর ছিল তা সমস্তই তিনি নিয়ে নিলেন। এছাড়া তিনি রাজবাড়ীর ধন-সম্পদ ও জামিন হিসাবে কতগুলো লোককে নিয়ে সামেরিয়াতে ফিরে গেলেন।
25. ইসরাইলের বাদশাহ্ যিহোয়াহসের ছেলে যিহোয়াশের মৃত্যুর পরে এহুদার বাদশাহ্ যোয়াশের ছেলে অমৎসিয় আরও পনেরো বছর বেঁচে ছিলেন।
26. অমৎসিয়ের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত “এহুদা ও ইসরাইলের বাদশাহ্দের ইতিহাস” নামে বইটিতে লেখা আছে।
27. অমৎসিয় মাবুদের পথে চলা থেকে সরে গেলে পর লোকেরা জেরুজালেমে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল। এতে তিনি লাখীশে পালিয়ে গেলেন, কিন্তু লোকেরা লাখীশে লোক পাঠিয়ে সেখানে তাঁকে হত্যা করল।
28. তাঁর লাশ ঘোড়ার পিঠে করে এনে এহুদার শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সংগে দাফন করা হল।