13. এদিকে যে সৈন্যদের অমৎসিয় যুদ্ধ করতে না দিয়ে ফেরৎ পাঠিয়েছিলেন তারা সামেরিয়া থেকে বৈৎ-হোরণ পর্যন্ত এহুদার সব গ্রাম ও শহর আক্রমণ করল। তারা তিন হাজার লোককে হত্যা করল এবং অনেক জিনিস লুট করে নিয়ে গেল।
14. অমৎসিয় ইদোমীয়দের হত্যা করে ফিরে আসবার সময় সেয়ীরের লোকদের মূর্তিগুলো সংগে করে নিয়ে আসলেন। সেগুলোকে তিনি নিজের দেব-দেবী হিসাবে স্থাপন করে তাদের পূজা করতে ও তাদের উদ্দেশে ধূপ জ্বালাতে লাগলেন।
15. এতে অমৎসিয়ের উপর মাবুদের রাগ জ্বলে উঠল। তিনি একজন নবীকে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। সেই নবী বললেন, “ঐ লোকদের যে দেবতারা আপনার হাত থেকে তাদের লোকদের উদ্ধার করতে পারে নি আপনি কেন তাদের সাহায্য চাইলেন?”
16. নবীর কথা শেষ না হতেই বাদশাহ্ তাঁকে বললেন, “আমরা কি বাদশাহ্র পরামর্শদাতা হিসাবে তোমাকে নিযুক্ত করেছি? তুমি থাম, নইলে তোমাকে মেরে ফেলা হবে।”এতে সেই নবী থামলেন, তবুও বললেন, “আমি জানি, আপনি এই কাজ করেছেন এবং আমার পরামর্শে কান দেন নি বলে আল্লাহ্ আপনাকে ধ্বংস করাই ঠিক করেছেন।”
17. পরে এহুদার বাদশাহ্ অমৎসিয় তাঁর মন্ত্রীদের সংগে পরামর্শ করে যেহূর নাতি, অর্থাৎ যিহোয়াহসের ছেলে ইসরাইলের বাদশাহ্ যিহোয়াশের কাছে বলে পাঠালেন, “আসুন, আমরা যুদ্ধের জন্য মুখোমুখি হই।”
18. কিন্তু ইসরাইলের বাদশাহ্ জবাবে এহুদার বাদশাহ্কে বলে পাঠালেন, “লেবাননের এক শিয়ালকাঁটা লেবাননেরই এরস গাছের কাছে বলে পাঠাল, ‘আমার ছেলের সংগে আপনার মেয়ের বিয়ে দিন।’ তারপর লেবাননের একটা বুনো জন্তু এসে সেই শিয়ালকাঁটাকে পায়ে মাড়িয়ে দিল।