13. যারা মেরামতের কাজ করছিল তারা খুব পরিশ্রম করত, আর তাদের কাজ এগিয়ে চলল। আল্লাহ্র ঘরটি তারা আগের অবস্থায় নিয়ে আসল এবং সেটি খুব মজবুত করল।
14. কাজ শেষ করে তারা বাকী টাকা বাদশাহ্ ও যিহোয়াদার কাছে নিয়ে আসল এবং সেই টাকা দিয়ে মাবুদের ঘরের এই সব জিনিস তৈরী করা হল- এবাদত-কাজের ও পোড়ানো-কোরবানীর জন্য জিনিসপত্র, হাতা ও অন্যান্য সোনা-রূপার জিনিস। যতদিন যিহোয়াদা বেঁচে ছিলেন ততদিন মাবুদের ঘরে নিয়মিত ভাবে পোড়ানো-কোরবানী দেওয়া হত।
15. যিহোয়াদা বুড়ো হয়ে পুরো বয়স পেলেন এবং একশো ত্রিশ বছর বয়সে ইন্তেকাল করলেন।
16. ইসরাইলের মধ্যে আল্লাহ্ ও তাঁর ঘরের জন্য তিনি যে সব ভাল কাজ করেছিলেন সেইজন্য তাঁকে দাউদ-শহরে বাদশাহ্দের সংগে দাফন করা হল।
17. যিহোয়াদার ইন্তেকালের পরে এহুদার নেতারা এসে বাদশাহ্কে সালাম জানালেন আর বাদশাহ্ তাঁদের কথাই শুনলেন।
18. তাঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র ঘর ত্যাগ করে আশেরা-খুঁটির ও মূর্তি পূজা করতে লাগলেন। তাঁদের এই গুনাহের জন্য আল্লাহ্র গজব এহুদা ও জেরুজালেমের উপর নেমে আসল।
19. যদিও মাবুদ লোকদের তাঁর কাছে ফিরিয়ে আনবার জন্য নবীদের পাঠালেন এবং তাঁরা লোকদের সাবধান করলেন তবুও তারা শুনল না।
20. তখন আল্লাহ্র রূহ্ ইমাম যিহোয়াদার ছেলে জাকারিয়ার উপর আসলেন। তিনি লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “আল্লাহ্ এই কথা বলছেন, ‘মাবুদের হুকুম তোমরা অমান্য করছ কেন? তোমরা এতে সফল হবে না। তোমরা মাবুদকে ত্যাগ করেছ বলে তিনিও তোমাদের ত্যাগ করেছেন।’ ”
21. কিন্তু লোকেরা জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল এবং বাদশাহ্র হুকুমে মাবুদের ঘরের উঠানে তাঁকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করল।
22. জাকারিয়ার পিতা যিহোয়াদা বাদশাহ্ যোয়াশের প্রতি যে বিশ্বস্ততা দেখিয়েছিলেন তা যোয়াশ মনে না রেখে তাঁর ছেলেকে হত্যা করলেন। জাকারিয়া মারা যাবার সময় বলেছিলেন, “মাবুদ এই কাজ দেখে আপনাকে শাস্তি দেবেন।”