2-3. এঁরা এহুদার সমস্ত জায়গায় গিয়ে সমস্ত শহর ও গ্রাম থেকে লেবীয়দের এবং বনি-ইসরাইলদের সমস্ত বংশের নেতাদের একত্র করলেন। তাঁরা জেরুজালেমে এসে সবাই মিলে আল্লাহ্র ঘরে বাদশাহ্ যোয়াশের সংগে একটা চুক্তি করলেন।যিহোয়াদা তাঁদের বললেন, “দাউদের বংশধরদের ব্যাপারে মাবুদ যে ওয়াদা করেছিলেন সেই অনুসারে বাদশাহ্র ছেলেই রাজত্ব করবেন।
14. তখন ইমাম যিহোয়াদা সৈন্যদলের উপরে নিযুক্ত শত-সেনাপতিদের বাইরে এনে বললেন, “ওঁকে সৈন্যদের সারির মাঝখানে রেখে এখান থেকে বের করে নিয়ে যান। যে তাঁর পিছনে পিছনে আসবে তাকে হত্যা করবেন।” এর আগে তিনি হুকুম দিয়েছিলেন যে, মাবুদের ঘরের মধ্যে অথলিয়াকে হত্যা করা উচিত হবে না।
15. কাজেই তাঁরা অথলিয়াকে ধরলেন এবং রাজবাড়ীর ঘোড়া-দরজায় ঢুকবার পথে নিয়ে গিয়ে তাঁকে হত্যা করলেন।
16. তারপর যিহোয়াদা, বাদশাহ্ ও লোকেরা মিলে এই চুক্তি করলেন যে, তাঁরা মাবুদের বান্দা হিসাবে চলবেন।
17. তারপর সব লোক বাল দেবতার মন্দিরে গিয়ে সেটা ভেংগে ফেলল। তারা বেদী ও মূর্তিগুলো চুরমার করে দিল এবং বেদীগুলোর সামনে বাল দেবতার পুরোহিত মত্তনকে হত্যা করল।
18. তারপর যিহোয়াদা মাবুদের ঘরের দেখাশোনার ভার ইমামদের হাতে দিলেন। এঁরা ছিলেন লেবীয়। এঁদের উপরে দাউদ মাবুদের ঘরের ভার দিয়েছিলেন যেন তাঁরা দাউদের হুকুম মত আনন্দের সংগে কাওয়ালী গেয়ে মূসার শরীয়ত অনুসারে মাবুদের উদ্দেশে পোড়ানো-কোরবানী দিতে পারেন।
19. কোন রকম নাপাক লোক যাতে ঢুকতে না পারে সেইজন্য তিনি মাবুদের ঘরের দরজাগুলোতে রক্ষীদের রাখলেন।
20. যিহোয়াদা শত-সেনাপতিদের, গণ্যমান্য লোকদের, লোকদের নেতাদের ও দেশের সব লোকদের নিয়ে মাবুদের ঘর থেকে বাদশাহ্কে বের করে আনলেন। তাঁরা উঁচু জায়গার দরজা দিয়ে রাজবাড়ীতে গেলেন এবং বাদশাহ্কে রাজ-সিংহাসনে বসালেন।
21. অথলিয়াকে হত্যা করা হলে পর শহরটা শান্ত হল এবং দেশের সব লোক আনন্দ করল।