5. যিহোরাম বত্রিশ বছর বয়সে বাদশাহ্ হয়েছিলেন এবং জেরুজালেমে আট বছর রাজত্ব করেছিলেন।
6. আহাবের বংশের লোকদের মতই তিনি ইসরাইলের বাদশাহ্দের পথে চলতেন, কারণ তিনি আহাবের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। মাবুদের চোখে যা খারাপ তিনি তা-ই করতেন।
7. তবুও মাবুদ দাউদের জন্য যে ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন সেইজন্য তাঁর বংশকে তিনি ধ্বংস করতে চাইলেন না। তিনি দাউদ ও তাঁর বংশধরদের চিরকাল একটা বাতি দেবেন বলে ওয়াদা করেছিলেন।
8. যিহোরামের সময়ে ইদোম দেশের লোকেরা এহুদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নিজেদের জন্য একজন বাদশাহ্ ঠিক করে নিয়েছিল।
9. কাজেই যিহোরাম তাঁর সেনাপতিদের ও সব রথ নিয়ে সেখানে গেলেন। ইদোমীয়রা তাঁকে ও তাঁর রথের সেনাপতিদের ঘেরাও করল, কিন্তু তিনি রাতের বেলায় উঠে ঘেরাও ভেংগে বেরিয়ে গেলেন।
10. ইদোম আজও এহুদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে আছে। যিহোরাম তাঁর পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্কে ত্যাগ করেছিলেন বলে একই সময়ে লিব্নাও বিদ্রোহ করল।
11. তিনি এহুদার পাহাড়গুলোর উপরে পূজার উঁচু স্থান তৈরী করালেন এবং তাঁর জন্য জেরুজালেমের লোকেরা মূর্তি পূজায় নিজেদের বিকিয়ে দিল আর এহুদার লোকেরা বিপথে চলে গেল।
14. কাজেই মাবুদ এখন তোমার লোকদের, তোমার ছেলেদের ও তোমার স্ত্রীদের উপর ভয়ংকর আঘাত করবেন এবং তোমার সমস্ত সম্পত্তি ধ্বংস করবেন।
15. তুমি নিজেও পেটের অসুখে ভুগতে থাকবে আর সেই অসুখে তোমার নাড়িভূঁড়ি বের হয়ে আসবে।’ ”
16. মাবুদ যিহোরামের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনীদের এবং ইথিওপীয়দের কাছে বাস করা আরবীয়দের মনে শত্রুতার ভাব জাগিয়ে তুললেন।
17. তারা এহুদা আক্রমণ করে সেখানে ঢুকে রাজবাড়ীর সব জিনিসপত্র এবং যিহোরামের ছেলেদের ও স্ত্রীদের নিয়ে গেল। তাঁর ছোট ছেলে অহসিয় (যিহোয়াহস) ছাড়া আর কোন ছেলে তাঁর কাছে রইল না।
18. এই সমস্ত ঘটনার পরে মাবুদ যিহোরামকে এমন পেটের অসুখ দিলেন যা ভাল করা যায় না।
19. পরে দ্বিতীয় বছরের শেষে সেই রোগের দরুন তাঁর নাড়িভূঁড়ি বের হয়ে আসল এবং তিনি খুব যন্ত্রণা পেয়ে মারা গেলেন। লোকেরা তাঁর পূর্বপুরুষদের সম্মান দেখাবার জন্য যেমন আগুন জ্বালাত তাঁর বেলায় তা করল না।
20. যিহোরাম বত্রিশ বছর বয়সে বাদশাহ্ হয়েছিলেন এবং আট বছর জেরুজালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে কেউ দুঃখ প্রকাশ করে নি। দাউদ-শহরে তাঁকে দাফন করা হয়েছিল কিন্তু বাদশাহ্দের কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয় নি।