3. এতে যিহোশাফট ভয় পেয়ে স্থির করলেন যে, তিনি মাবুদের কাছে সাহায্য চাইবেন। তিনি এহুদা দেশের সব জায়গায় রোজা রাখবার কথা ঘোষণা করলেন।
4. এহুদার লোকেরা মাবুদের সাহায্য চাইবার জন্য এসে একত্র হল; এমন কি, এহুদার সমস্ত গ্রাম থেকেও লোকেরা এসেছিল।
5. তখন যিহোশাফট মাবুদের ঘরের নতুন উঠানে এহুদা ও জেরুজালেমের সমস্ত লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন,
6. “হে আল্লাহ্, আমাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ, তুমি তো বেহেশতের মাবুদ। তুমি সমস্ত জাতির রাজ্যগুলো শাসন করে থাক। ক্ষমতা ও শক্তি তোমারই হাতে এবং কেউ তোমাকে বাধা দিতে পারে না।
7. হে আমাদের আল্লাহ্, তোমার বান্দা বনি-ইসরাইলদের সামনে থেকে এই দেশের বাসিন্দাদের তাড়িয়ে দিয়ে তুমি তা তোমার বন্ধু ইব্রাহিমের বংশের লোকদের চিরকালের জন্য দিয়েছ।
8. তারা সেখানে বাস করেছে এবং তোমারই জন্য একটা পবিত্র ঘর তৈরী করে বলেছে,
9. ‘যদি কোন বিপদ আমাদের উপরে আস্তে তা যুদ্ধ বা শাস্তি কিংবা মহামারী অথবা দুর্ভিক্ষ হোক- তবে আমরা তখন এই ঘরের সামনে, অর্থাৎ তোমার সামনে দাঁড়াব, কারণ তুমি এই ঘরে বাস কর। আমাদের কষ্টের সময় আমরা তোমার কাছে কাঁদব, আর তুমি আমাদের কথা শুনে আমাদের উদ্ধার করবে।’
22-23. লোকেরা যখন কাওয়ালী গাইতে ও প্রশংসা করতে লাগল তখন মাবুদ এহুদার লোকদের সংগে যুদ্ধ করতে আসা অম্মোন ও মোয়াব এবং সেয়ীর পাহাড়ের লোকদের বিরুদ্ধে সৈন্যদের ওৎ পেতে বসিয়ে রাখলেন। সেই সময় অম্মোন ও মোয়াবের লোকেরা সেয়ীর পাহাড়ের লোকদের বিরুদ্ধে উঠে তাদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে ফেলল। সেয়ীরের লোকদের হত্যা করবার পর তারা একে অন্যকে হত্যা করতে লাগল। এইভাবে তারা হেরে গেল।
24. এহুদার লোকেরা মরুভূমির উঁচু পাহারা-ঘরে এসে সেই বিরাট সৈন্যদলের দিকে তাকিয়ে দেখল যে, মাটিতে কেবল লাশ পড়ে রয়েছে; কেউ পালিয়ে বাঁচতে পারে নি।
25. তখন যিহোশাফট ও তাঁর লোকেরা লুটের জিনিস আনতে গিয়ে সেই লাশগুলোর সংগে এত বেশী পরিমাণে জিনিসপত্র, কাপড়-চোপড় ও ধন্তরত্ন দেখতে পেল যে, তারা সেগুলো বয়ে নিয়ে যেতে পারল না। লুটের জিনিস বেশী হওয়াতে তা নিয়ে যেতে তাদের তিন দিন লাগল।
26. চতুর্থ দিনে তারা বরাখা উপত্যকায় জমায়েত হয়ে মাবুদের প্রশংসা করল। এইজন্য আজও সেই জায়গাকে বলা হয় বরাখা উপত্যকা (যার মানে “প্রশংসা”)।
27. তারপর যিহোশাফটের পিছনে পিছনে এহুদা ও জেরুজালেমের সমস্ত লোক আনন্দ করতে করতে জেরুজালেমে ফিরে আসল, কারণ তাদের শত্রুদের উপরে মাবুদ তাদের জয় দান করেছিলেন।
28. তারা বীণা, সুরবাহার ও শিংগা বাজাতে বাজাতে জেরুজালেমে ফিরে এসে মাবুদের ঘরে গেল।
29. ইসরাইলের শত্রুদের বিরুদ্ধে মাবুদ কেমন করে যুদ্ধ করেছেন সেই কথা শুনে অন্যান্য দেশের সমস্ত লোকদের উপর মাবুদ সম্বন্ধে একটা ভয় নেমে আসল।
30. এতে যিহোশাফটের রাজ্য শান্তিতে রইল, কারণ তাঁর আল্লাহ্ সব দিকেই তাঁকে শান্তি দিয়েছিলেন।
31. যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে এহুদার বাদশাহ্ হয়েছিলেন এবং পঁচিশ বছর জেরুজালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল অসূবা; তিনি ছিলেন শিল্হির মেয়ে।
32. যিহোশাফট তাঁর বাবা আসার পথে চলতেন এবং কখনও সেই পথ ছেড়ে যান নি। মাবুদের চোখে যা ঠিক তিনি তা-ই করতেন।