1. সোলায়মান মাবুদের উদ্দেশে একটা এবাদত-খানা এবং নিজের জন্য একটা রাজবাড়ী তৈরী করবার হুকুম দিলেন।
2. তিনি সত্তর হাজার লোককে বোঝা বইবার জন্য, আশি হাজার লোককে পাহাড়ে পাথর কাটবার জন্য এবং তিন হাজার ছ’শো লোককে তাদের তদারক করবার জন্য কাজে লাগালেন।
3. সোলায়মান টায়ারের বাদশাহ্ হীরমকে এই খবর পাঠালেন, “আমার পিতা দাউদের থাকবার জন্য একটা রাজবাড়ী তৈরী করতে আপনি যেমন তাঁকে এরস কাঠ পাঠিয়েছিলেন তেমনি আমার জন্যও এরস কাঠ পাঠিয়ে দিন।
4. এখন আমি আমার মাবুদ আল্লাহ্র জন্য একটা ঘর তৈরী করতে ও তাঁর নামে সেটি পবিত্র করতে প্রস্তুত হয়েছি, যাতে তাঁর সামনে খোশবু-ধূপ জ্বালানো যায়, নিয়মিত ভাবে পবিত্র-রুটি সাজিয়ে রাখা যায় এবং প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায়, বিশ্রামবারে, অমাবস্যায় ও আমাদের মাবুদ আল্লাহ্র স্থির-করা বিভিন্ন ঈদের সময়ে পোড়ানো-কোরবানী দেওয়া যায়। এই সব পালন করা বনি-ইসরাইলদের জন্য একটা চিরকালের নিয়ম।
5. “যে ঘরটি আমি তৈরী করতে যাচ্ছি সেটি হবে মহৎ, কারণ আমাদের আল্লাহ্ সমস্ত দেবতার চেয়ে মহান।
6. কিন্তু তাঁর জন্য ঘর তৈরী করতে কে পারে? কারণ আসমানে, এমন কি বেহেশতেও তাঁর স্থান অকুলান হয়। কেবল তাঁর সামনে বিভিন্ন কোরবানীর জিনিসগুলো পোড়াবার স্থান ছাড়া আমি আর কি করে তাঁর জন্য একটা ঘর তৈরী করতে পারি?
7. “আমার পিতা দাউদ দক্ষ কারিগরদের ঠিক করে রেখেছেন যারা এখন এহুদা ও জেরুজালেমে আমার কাছে আছে। তাদের সংগে কাজ করবার জন্য আপনি আমাকে এমন একজন দক্ষ কারিগর পাঠিয়ে দিন যে সোনা-রূপা, ব্রোঞ্জ ও লোহার কাজ, বেগুনী, লাল ও নীল রংয়ের সুতার কাজ এবং খোদাই কাজ করতে জানে।
10. আমি আপনার লোকদের, অর্থাৎ যে কাঠুরেরা গাছ কাটবে তাদের তিন হাজার ছ’শো টন পেষা গম, তিন হাজার ছ’শো টন যব, চার লক্ষ চারশো লিটার আংগুর-রস এবং চার লক্ষ চারশো লিটার জলপাইয়ের তেল দেব।”
11. টায়ারের বাদশাহ্ হীরম জবাবে সোলায়মানকে এই চিঠি লিখে পাঠালেন, “মাবুদ তাঁর বান্দাদের মহব্বত করেন বলেই আপনাকে তাদের বাদশাহ্ করেছেন।”