22. এইজন্যই মাবুদ এখন আপনার এই নবীদের মুখে মিথ্যা বলবার রূহ্ দিয়েছেন। আপনার সর্বনাশ হবার জন্য মাবুদ রায় দিয়েছেন।”
23. তখন কনানার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মিকায়ের গালে চড় মেরে বলল, “মাবুদের রূহ্ তোর সংগে কথা বলবার জন্য আমার কাছ থেকে বেরিয়ে কোন্ পথে গিয়েছিলেন?”
24. জবাবে মিকায় বললেন, “তুমি সেই দিন তা জানতে পারবে যেদিন তুমি নিজেকে লুকাবার জন্য ভিতরের ঘরে গিয়ে ঢুকবে।”
25. ইসরাইলের বাদশাহ্ তখন এই হুকুম দিলেন, “মিকায়কে শহরের শাসনকর্তা আমোন ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে আবার পাঠিয়ে দাও।
26. তাদের বল বাদশাহ্ বলেছেন এই লোকটিকে যেন জেলে রাখা হয় এবং বাদশাহ্ নিরাপদে ফিরে না আসা পর্যন্ত তাকে অল্প পানি ও অল্প রুটি ছাড়া আর কিছু না দেওয়া হয়।”
27. তখন মিকায় বললেন, “যদি আপনি সত্যিই নিরাপদে ফিরে আসেন তবে জানবেন মাবুদ আমার মধ্য দিয়ে কথা বলেন নি।” তারপর তিনি আবার বললেন, “আপনারা সবাই আমার কথাটা শুনে রাখুন।”
28. এর পরে ইসরাইলের বাদশাহ্ আহাব ও এহুদার বাদশাহ্ যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে গেলেন।
29. আহাব যিহোশাফটকে বললেন, “আমাকে যাতে লোকেরা চিনতে না পারে সেইজন্য আমি অন্য পোশাক পরে যুদ্ধে যোগ দেব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাকই পরুন।” এই বলে ইসরাইলের বাদশাহ্ অন্য পোশাক পরে যুদ্ধ করতে গেলেন।
30. সিরিয়ার বাদশাহ্ তাঁর রথগুলোর সেনাপতিদের এই হুকুম দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইসরাইলের বাদশাহ্ ছাড়া আপনারা ছোট কি বড় আর কারও সংগে যুদ্ধ করবেন না।”
31. রথের সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিলেন যে, তিনি নিশ্চয়ই ইসরাইলের বাদশাহ্। কাজেই তাঁরা ফিরে তাঁকে আক্রমণ করতে গেলেন কিন্তু যিহোশাফট চেঁচিয়ে উঠলেন, তখন মাবুদ আল্লাহ্ তাঁকে সাহায্য করলেন আর তাতে তাঁরা তাঁর কাছ থেকে চলে গেলেন।
32. এতে সেনাপতিরা বুঝলেন যে, তিনি ইসরাইলের বাদশাহ্ নন, সেইজন্য তাঁরা আর তাঁর পিছনে তাড়া করলেন না।
33. কিন্তু একজন লোক লক্ষ্য স্থির না করেই তার ধনুকে টান দিয়ে ইসরাইলের বাদশাহ্র বুক ও পেটের বর্মের মাঝামাঝি ফাঁকে আঘাত করে বসল। তখন বাদশাহ্ তাঁর রথচালককে বললেন, “রথ ঘুরিয়ে তুমি যুদ্ধের জায়গা থেকে আমাকে বাইরে নিয়ে যাও। আমি আঘাত পেয়েছি।”
34. সারা দিন ধরে ভীষণ যুদ্ধ চলল আর ইসরাইলের বাদশাহ্কে রথের মধ্যে সিরীয়দের মুখোমুখি করে বসিয়ে রাখা হল, আর সূর্য ডুবে যাবার সময় তিনি মারা গেলেন।