10. সরা, অয়ালোন ও হেবরন নামে এহুদা ও বিন্ইয়ামীন এলাকার কয়েকটা গ্রাম ও শহর দেয়াল দিয়ে ঘিরে শক্তিশালী করলেন।
11. তিনি সেগুলোর রক্ষার ব্যবস্থা মজবুত করলেন ও সেখানে সেনাপতিদের রাখলেন। তিনি সেখানে তাদের জন্য খাবার-দাবার, জলপাই-তেল ও আংগুর-রস মজুদ করলেন।
12. তিনি সেই সমস্ত গ্রাম ও শহরের মধ্যে ঢাল ও বর্শা রেখে সেগুলো খুব শক্তিশালী করলেন। এইভাবে এহুদা ও বিন্ইয়ামীন এলাকা তাঁর অধীনে রইল।
13. ইসরাইলের সমস্ত এলাকার ইমাম ও লেবীয়রা তাঁর পক্ষে ছিলেন।
14. লেবীয়রা তাদের পশু চরাবার মাঠ ও সম্পত্তি ত্যাগ করে এহুদা ও জেরুজালেমে চলে আসল, কারণ ইয়ারাবিম আর তাঁর ছেলেরা মাবুদের ইমামের পদ থেকে তাদের বাতিল করে দিয়েছিলেন।
15. ইয়ারাবিম এবাদতের উঁচু স্থানগুলোর জন্য এবং ভূতদের জন্য ও তাঁর তৈরী বাছুরের মূর্তিগুলোর জন্য তাঁর নিজের পুরোহিতদের নিযুক্ত করেছিলেন।
16. ইসরাইলের সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে যারা ইসরাইলের মাবুদ আল্লাহ্র ইচ্ছা জানবার জন্য আগ্রহী হয়েছিল তারা তাদের পূর্বপুরুষদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে কোরবানী দেবার জন্য লেবীয়দের সংগে জেরুজালেমে আসল।
17. তারা তিন বছর পর্যন্ত এহুদা রাজ্য ও সোলায়মানের ছেলে রহবিয়ামের হাতকে শক্তিশালী করে তুলল, কারণ এই তিন বছর তারা দাউদ ও সোলায়মানের পথে চলেছিল।
18. রহবিয়াম দাউদের ছেলে যিরীমোতের মেয়ে মহলৎকে বিয়ে করেছিলেন। মহলতের মা অবীহয়িল ছিলেন ইয়াসির ছেলে ইলীয়াবের মেয়ে।
19. মহলতের গর্ভে যিয়ূশ, শমরিয় ও সহম নামে তিনটি ছেলের জন্ম হয়েছিল।
20. তারপর রহবিয়াম অবশালোমের মেয়ে মাখাকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর গর্ভে অবিয়, অত্তয়, সীষ ও শলোমীতের জন্ম হয়েছিল।
21. রহবিয়াম তাঁর অন্যান্য স্ত্রী ও উপস্ত্রীদের চেয়ে অবশালোমের মেয়ে মাখাকে বেশী ভালবাসতেন। তাঁর মোট আঠারোজন স্ত্রী ও ষাটজন উপস্ত্রী, আটাশজন ছেলে ও ষাটজন মেয়ে ছিল।
22. রহবিয়াম মাখার ছেলে অবিয়কে বাদশাহ্ করবার ইচ্ছা নিয়ে তাঁকে তাঁর ভাইদের মধ্যে প্রধান করলেন।
23. তাঁর কয়েকজন ছেলেকে তিনি এহুদা ও বিন্ইয়ামীনের সমস্ত এলাকার দেয়াল-ঘেরা শহরে পাঠিয়ে দিয়ে বুদ্ধিমানের কাজ করলেন। তিনি তাঁদের প্রচুর খাবার-দাবার দিলেন এবং তাঁদের জন্য অনেক স্ত্রীর ব্যবস্থা করলেন।