2. সোলায়মান সমস্ত বনি-ইসরাইলদের, অর্থাৎ হাজার সৈন্যের ও শত সৈন্যের সেনাপতিদের, বিচারকদের এবং ইসরাইলের সমস্ত বংশের নেতাদের একত্র হবার জন্য হুকুম দিলেন।
3. তারপর তিনি ও সমস্ত লোকেরা গিবিয়োনের এবাদতের উঁচু স্থানে গেলেন, কারণ সেখানেই আল্লাহ্র মিলন-তাম্বু ছিল যেটি মাবুদের গোলাম মূসা মরুভূমিতে থাকতে তৈরী করেছিলেন।
4. অবশ্য আল্লাহ্র সিন্দুকটি জেরুজালেমে ছিল, কারণ দাউদ কিরিয়ৎ-যিয়ারীম থেকে সেটি নিয়ে এসে এর জন্য জেরুজালেমে যে তাম্বু খাটিয়েছিলেন সেখানে রেখেছিলেন।
5. কিন্তু হূরের নাতি ঊরির ছেলে বৎসলেল ব্রোঞ্জের যে কোরবানগাহ্ তৈরী করেছিলেন সেটি গিবিয়োনে মাবুদের আবাস-তাম্বুর সামনে ছিল। সেইজন্য সোলায়মান ও সব লোকেরা সেখানে গেলেন।
6. তখন সোলায়মান সেই ব্রোঞ্জের কোরবানগাহের কাছে গিয়ে মাবুদের সামনে তার উপরে এক হাজার পশু দিয়ে পোড়ানো-কোরবানী দিলেন।
7. সেই রাতে আল্লাহ্ সোলায়মানের কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে বললেন, “তুমি আমার কাছে যা চাইবে আমি তা-ই তোমাকে দেব।”
8. জবাবে সোলায়মান আল্লাহ্কে বললেন, “তুমি আমার পিতা দাউদের প্রতি অটল মহব্বত দেখিয়েছ এবং তাঁর জায়গায় আমাকে বাদশাহ্ করেছ।
9. হে আল্লাহ্ মাবুদ, আমার পিতা দাউদের কাছে তুমি যে ওয়াদা করেছ এখন তা পূর্ণ কর, কারণ তুমি এমন এক জাতির উপরে আমাকে বাদশাহ্ করেছ যারা দুনিয়ার ধুলার মত অসংখ্য।
10. আমাকে জ্ঞান ও বুদ্ধি দাও যাতে আমি আমার কর্তব্য পালন করতে পারি, কারণ কার সাধ্য আছে তোমার এই মহাজাতিকে শাসন করে?”
11. তখন আল্লাহ্ সোলায়মানকে বললেন, “তোমার মনের ইচ্ছা ভাল। তুমি ধন, সম্পদ, সম্মান কিংবা শত্রুদের মৃত্যু চাও নি, এমন কি, অনেক আয়ুও চাও নি। তার চেয়ে বরং আমার যে বান্দাদের উপরে আমি তোমাকে বাদশাহ্ করেছি তাদের শাসন করবার জন্য তুমি জ্ঞান ও বুদ্ধি চেয়েছ।
12. সেইজন্য তোমাকে জ্ঞান ও বুদ্ধি দেওয়া হল। এছাড়া আমি তোমাকে এমন ধন, সম্পদ ও সম্মান দেব যা তোমার আগে কোন বাদশাহ্র ছিল না এবং তোমার পরেও থাকবে না।”
13. এর পর সোলায়মান গিবিয়োনের এবাদতের উঁচু স্থান, যেখানে মিলন-তাম্বু ছিল, সেখান থেকে জেরুজালেমে চলে গেলেন আর ইসরাইলের উপরে রাজত্ব করতে লাগলেন।