2. আমাদের পিতা আল্লাহ ও হযরত ঈসা মসীহ্ তোমাদের রহমত ও শান্তি দান করুন।
3. আমাদের হযরত ঈসা মসীহের আল্লাহ্ ও পিতার প্রশংসা হোক। তিনিই মমতায় পূর্ণ পিতা; তিনিই সমস্ত সান্ত্বনার আল্লাহ্।
4. আমাদের সব দুঃখ-কষ্টে তিনি সান্ত্বনা দান করেন, যেন তাঁর কাছ থেকে পাওয়া সান্ত্বনা আমরা অন্যদের দুঃখ-কষ্টের সময়েও দিতে পারি।
5. মসীহের মত করে আমরা যেমন অনেক কষ্ট সহ্য করছি তেমনি তাঁর মধ্য দিয়ে অনেক সান্ত্বনাও পাচ্ছি।
6. আমরা যে কষ্ট ভোগ করি তা তোমাদের সান্ত্বনা ও উদ্ধারের উদ্দেশ্যেই করি। আমরা যে সান্ত্বনা পাই তা তোমাদের সান্ত্বনার উদ্দেশ্যেই পাই। যখন তোমরা আমাদের মত করে একই কষ্ট ভোগ করবে তখন এ সান্ত্বনা সেই কষ্ট ধৈর্যের সংগে সহ্য করতে সাহায্য করবে।
7. তোমাদের সম্বন্ধে আমাদের স্থির বিশ্বাস আছে, কারণ তোমরা যেমন আমাদের কষ্টের ভাগী তেমনি আমাদের সান্ত্বনারও ভাগী।
8. এশিয়া প্রদেশে আমরা যে কষ্টে পড়েছিলাম, আমরা চাই তা যেন তোমরা জানতে পার। সেখানে সহ্যের অতিরিক্ত এমন চাপ আমাদের উপর পড়েছিল যে, বাঁচবার আশা আমরা ছেড়েই দিয়েছিলাম।
9. আমরা ভেবেছিলাম যে, এবার আমরা নিশ্চয়ই মারা যাব। কিন্তু এই অবস্থা আমাদের এইজন্য হয়েছিল যেন আমরা নিজেদের উপর ভরসা না করে আল্লাহ্, যিনি মৃতদের জীবিত করে তোলেন, তাঁর উপর ভরসা করি।
13-14. তোমরা যা পড়তে পার বা বুঝতে পার তার বাইরে আর অন্য কিছুই আমরা তোমাদের কাছে লিখছি না। আমি এই আশা করি, তোমরা যেমন কিছু পরিমাণে আমাদের বুঝতে পেরেছ, তেমনি পুরোপুরি বুঝতে পারবে যে, হযরত ঈসার আসবার দিনে তোমরা যেমন আমাদের গর্বের বিষয় হবে তেমনি আমরাও তোমাদের গর্বের বিষয় হব।
15. এই কথা যে সত্যি তা জেনে আমি আগেই তোমাদের কাছে যাব বলে ঠিক করেছিলাম, যেন তোমরা দু’বার দোয়া পেতে পার।
16. আমি ঠিক করেছিলাম যে, ম্যাসিডোনিয়া যাবার পথে তোমাদের সংগে দেখা করে যাব এবং ম্যাসিডোনিয়া থেকে আবার তোমাদের কাছেই ফিরে আসব, যেন তোমরা আমাকে এহুদিয়াতে পাঠাবার ব্যবস্থা করতে পার।
17. তোমরা কি মনে কর আমি কোন তামাশার মনোভাব নিয়ে এটা ঠিক করেছিলাম? সাধারণ মানুষ যেমন একই সময়ে “জ্বী” আবার “না” বলে, আমি কি তেমনি করে কোন কিছু ঠিক করি?
18. আল্লাহ্ বিশ্বাসযোগ্য, এই কথা যেমন সত্যি তেমনি এটাও সত্যি যে, তোমাদের কাছে আমাদের কথা একই সময়ে “জ্বী” এবং “না” হয় না।
19. যাঁর কথা সীলবান, তীমথিয় এবং আমি তোমাদের কাছে তবলিগ করেছি সেই ঈসা মসীহ্ ইব্নুল্লাহ্, একই সময়ে “জ্বী” এবং “না” নন;
20. তিনি সব সময় “জ্বী”। আল্লাহ্র সমস্ত ওয়াদা মসীহের মধ্য দিয়ে “জ্বী” হয়ে ওঠে। তাই আল্লাহ্র গৌরবের জন্য মসীহেরই মধ্য দিয়ে আমরা “আমিন” বলি।
21. যিনি মসীহের সংগে আমাদের ও তোমাদের যুক্ত করে শক্তভাবে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন তিনি হলেন আল্লাহ্। তিনিই আমাদের অভিষেক করেছেন,
22. অর্থাৎ তাঁর নিজের সম্পত্তি হিসাবে তিনি আমাদের সীলমোহর করে রেখেছেন; আর যা কিছু আমাদের দেবেন তার প্রথম অংশ হিসাবে তিনি আমাদের দিলে পাক-রূহ্কে দিয়েছেন।