3. দাউদ তাঁর লোকদের নিয়ে সিক্লগে ফিরে এসে দেখলেন শহরটা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
4. এই অবস্থা দেখে দাউদ ও তাঁর লোকেরা জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন। শেষে এমন হল যে, তাদের কাঁদবার শক্তিও আর রইল না।
5. দাউদের দুই স্ত্রী, যিষ্রীয়েলের অহিনোয়ম আর কর্মিলের বাসিন্দা নাবলের বিধবা অবীগল বন্দী হয়েছিলেন।
6. তখন দাউদ মহা বিপদে পড়লেন, কারণ ছেলেমেয়েদের জন্য তাঁর লোকদের মন দাউদের প্রতি এমন তেতো হয়ে উঠেছিল যে, তারা দাউদকে পাথর মারবার কথা বলাবলি করছিল। কিন্তু দাউদ তাঁর মাবুদ আল্লাহ্র উপর ভরসা করে দিলে শক্তি পেলেন।
9. তখন দাউদ তাঁর ছ’শো লোক সংগে নিলেন। তাঁরা বিষোর নামে একটা পাহাড়ী খাদের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন। সেখানে কিছু লোককে রেখে যেতে হল।
10. প্রায় দু’শো লোক ক্লান্ত হয়ে পড়াতে সেই খাদ পার হতে পারল না। দাউদ চারশো লোক নিয়ে শত্রুদের পিছনে তাড়া করে গেলেন।
11. পরে একটা মাঠের মধ্যে তাঁর লোকেরা একজন মিসরীয় লোককে দেখতে পেল। তারা তাকে দাউদের কাছে নিয়ে গেল এবং খাবার ও পানি খেতে দিলে সে তা খেল।
12. তারপর তারা তাকে ডুমুরের তালের এক টুকরা ও দুই তাল কিশমিশ খেতে দিল। তিন দিন তিন রাত সে খাবার কিংবা পানি কিছুই খায় নি, তাই এই সব খেয়ে সে যেন প্রাণ ফিরে পেল।
13. দাউদ লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কার লোক? কোথা থেকে এসেছ?”লোকটি বলল, “আমি একজন মিসরীয় যুবক, একজন আমালেকীয়ের গোলাম। আজ তিন দিন হল আমার অসুখ হয়েছে, তাই আমার মালিক আমাকে ফেলে চলে গেছেন।
14. আমরা নেগেভে করেথীয়দের এলাকা, এহুদা এলাকা ও কালুত এলাকায় লুটপাট করতে গিয়েছিলাম আর সিক্লগ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছি।”
15. দাউদ বললেন, “ঐ লুটেরাদের কাছে কি তুমি আমাকে নিয়ে যেতে পারবে?”জবাবে সে বলল, “আপনি আল্লাহ্র নামে কসম খেয়ে বলুন যে, আপনি আমাকে মেরেও ফেলবেন না কিংবা আমার মালিকের হাতে তুলেও দেবেন না। তাহলে আমি আপনাকে তাদের কাছে নিয়ে যাব।”
16. পরে সে দাউদকে ঐ দলের কাছে নিয়ে গেল। তারা তখন একটা মাঠের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং খাওয়া-দাওয়া করছিল ও মদ খেয়ে আমোদ-প্রমোদ করছিল, কারণ ফিলিস্তিনীদের দেশ ও এহুদা এলাকা থেকে তারা অনেক জিনিসপত্র লুটপাট করে এনেছিল।
17. দাউদ সেই দিনের বিকালবেলা থেকে শুরু করে পর দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের সংগে যুদ্ধ করলেন। তাদের মধ্যে কেউই রক্ষা পেল না, কেবল চারশো যুবক উটের পিঠে করে পালিয়ে গেল।