11. মাবুদ শামুয়েলকে বললেন, “দেখ, আমি বনি-ইসরাইলদের মধ্যে এমন কিছু করতে যাচ্ছি যার কথা শুনে সবাই শিউরে উঠবে।
12. আমি আলীর বংশের বিষয়ে যা কিছু বলেছি তার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সবই আলীর বিরুদ্ধে পূর্ণ করব।
13. আমি তাকে বলেছি, অন্যায়ের দরুন তার বংশকে আমি চিরকালের জন্য শাস্তি দিতে যাচ্ছি। সে জানত যে, তার ছেলেরা নিজেদের মাথায় বদদোয়া ডেকে আনছে, অথচ সে তাদের সংশোধনের চেষ্টা করে নি।
14. সেইজন্য আলীর বংশের বিষয় আমি কসম খেয়ে বলছি যে, পশু-কোরবানী কিংবা অন্য কোন কোরবানীর দ্বারা তার বংশের অন্যায় কখনই ঢাকা দেওয়া যাবে না।”
15. এর পর শামুয়েল সকাল পর্যন্ত শুয়ে রইলেন, তারপর উঠে মাবুদের ঘরের দরজাগুলো খুললেন; কিন্তু এই দর্শনের কথা আলীর কাছে বলতে তাঁর সাহস হল না।
16. তখন আলী তাঁকে বললেন, “বাবা শামুয়েল।”শামুয়েল জবাব দিলেন, “এই যে আমি।”
17. আলী জিজ্ঞাসা করলেন, “আল্লাহ্ তোমাকে কি বলেছেন? আমার কাছ থেকে তুমি তা লুকায়ো না। তিনি যা বলেছেন তার কিছু যদি তুমি আমার কাছ থেকে লুকাও তবে তিনি যেন তোমাকে ভীষণ শাস্তি দেন।”
18. তখন শামুয়েল আলীকে সব কথা খুলে বললেন, কিছুই লুকালেন না। তা শুনে আলী বললেন, “তিনি মাবুদ; তাঁর কাছে যা ভাল মনে হয় তিনি তা-ই করুন।”
19. এইভাবে শামুয়েল বেড়ে উঠতে লাগলেন আর মাবুদ তাঁর সংগে রইলেন এবং নবী হিসাবে বলা তাঁর কোন কথাই মাবুদ বিফল হতে দিতেন না।
20. তাতে দান এলাকা থেকে বের্-শেবা পর্যন্ত সমস্ত বনি-ইসরাইলরা জানতে পারল যে, শামুয়েল মাবুদের নবী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছেন।
21. তখন থেকে মাবুদ শীলোতে আবার দর্শন দিতে লাগলেন, কারণ শীলোতে তিনি তাঁর কালামের মধ্য দিয়ে শামুয়েলের কাছে নিজেকে প্রকাশ করতেন;